প্রকাশ সরকার সুমন, ডেমরা থেকে :
ঢাকা মহানগর দক্ষিন ৬৮নং ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে ডেমরার হাজী নগর বালুর মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন ও শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: মিরাজ হোসেন ও মো: আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসির ৬৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাহমুদুল হাসান পলিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবলীগ নেতা দুলাল খাঁন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবে অর্জিত সফলতার ফলে পৃথিবীর অনেক দেশেরই বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মেলানোর সুযোগ নেই। পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে। আর গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ফাইভ-জি যুগে যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে কম্পিউটারে বাংলাভাষা উদ্ভাবন ও প্রয়োগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পৃথিবীতে ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশ থেকেই স‚চনা হয়েছে। তিনি বলেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী ২১ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ বিনাম‚ল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তখনকার (বিএনপি-জামায়াত) সরকার সেই সুযোগ নেয়নি। গত এক যুগে সরকারী ও বেসরকারী তিনশ’রও বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে সারাদেশের ৮ হাজার ২৮০ ডিজিটাল সেন্টার। মোবাইল উৎপাদন ও সফটওয়্যার রফতানির ক্লাবে গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় রুপ না পায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে, আওয়ামী লীগে তৃনমুলে বিএনপি-জামায়াত ও সন্ত্রাসী-ভূমিদস্যুদের প্রাথমিক সদস্যও করা যাবে না। যাদের হাত ধরে দলে অনুপ্রবেশ ঘটবে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বজায় রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহবান জানান তিনি।