উক্ত ওরস শরীফে রহমাতাল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.) সহ তাঁহার আহালে বায়াত, সাহাবায়ে কেরাম, তামাম দুনিয়ার জামে আম্বিয়া, জামে আওলিয়াসহ তামাম জাহানের সকল মুসলমান নর-নারীর রুহে সওয়াব রেছানী, সারা বিশ্বের মানুষের হেদায়েত, মুসলিম উম্মার ঐক্য ও দুনিয়া আখিরাতের কামিয়াবী এবং দেশবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হইবে।
উল্লেখ্য, আওলাদে রাসুল মাহবুবে ছাইয়্যেদেল মোরছালিন কুতুবুল এরশাদ হজরত মাওলানা শাহ্ সূফি সৈয়দ ওয়াজেদ আলী মারহুম মাগফুর ছাহেব (রঃ) ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত মৌজে গের্দ্দায় জন্মগ্রহন করেন।
তিনি সৈয়দ হজরত শাহ্ এছহাক ( কুঃছেঃ আঃ) সাহেবের বংশধর। হজরত সৈয়দ ওয়াজেদ আলী (রঃ) ছিলেন হজরত মাওলানা বশারত উল্লাহ (রঃ) সাহেবের পুত্র। তিনি ( সৈয়দ বশারত উল্লাহ) একজন কামেল মোকাম্মেল আল্লাহর অলি ছিলেন। রাসূলে নোমা হজরত শাহ্ সূফি সৈয়দ ফাতেহ্ আলী (রঃ) ছাহেবের সুযোগ্য খলিফা ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল ছিলেন। হজরত সূফি ফাতেহ্ আলী (রঃ) ছাহেবের যাবতীয় জাহেরি ও বাতেনী এলেমের উত্তরাধিকারী হন। তিনি বাংলার বিভিন্ন স্থানে হেদায়েতের বানী প্রচার করেন ও সূফি আন্দোলন গড়ে তোলেন।
পাবনা, রংপুর,দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর অঞ্চলে তিনি ধনী-গরীব শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সাধারন মুসলমানদের হেদায়েত করার জন্য সচেষ্ট হন। বিভিন্ন জেলার বহু সংখ্যক লোক তাঁহার নিকট মুরিদ হন।
এই মহামানব ১৩৩৮ হিজরি ১৭ই সফর, বাংলা ১৩২৬ সালের ২৫ শে কার্তিক মঙ্গলবার রাত ৭ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল ফরমান এবং কলিকাতার নিজ বাড়ীতে গোবরা বাগে “মাদফুন” হন। সেখানেই( ৯/১ রাম মোহন বেরলেন কলি-৪৬) তাঁহার মাজার শরীফ অবস্থিত।