নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের এক উজ্জল নক্ষত্র শাহজাহান সিরাজ। মুক্তির সংগ্রামে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় তার সাহসী ভূমিকা এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে দেশবাসীর কাছে। তার প্রস্থান এই ক্রান্তিকালে দেশে গভীর রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। বুধবার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার খলিফার অন্যতম এবং স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক স্মরণ মঞ্চ আয়োজিত ভার্চুয়াল স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরেও গণতন্ত্র এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আবারও লড়াই-সংগ্রাম করেছেন শাহজাহান সিরাজ। শাহজাহান সিরাজ এবং তার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নক্ষত্রের পতন। স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা উত্তর গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের আন্দোলনে তার ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তিনি মাতৃভূমির প্রতি ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, শাহজাহান সিরাজ ও ৩ মার্চ পরস্পর পরস্পরের সমন্বয়ক। শাহজাহান সিরাজ না হলে ৩ মার্চ আলোচিত হতো না। আবার ৩ মার্চ না হলেও শাহজাহান সিরাজ হয়নি। আন্দোলন সংগ্রাম করে করে শাহজাহান সিরাজ হয়েছেন। স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারীদের ৩ মার্চ শাহজাহান সিরাজ পঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার মনোযোগের সাথে পাঠ করার অনুরোধ করেন। ইশতেহার পাঠের মাধ্যমে বহু বিকৃতি ও বির্তকের অবসান ঘটবে। শাহজাহান সিরাজ ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন। নাগরিক স্মরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ও এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংবাদিক ও কলামিস্ট এহসানুল হক জসীম, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, একটা রাষ্ট্রে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ একবারই হয়, আর সেই যুদ্ধের অন্যতম অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন সেসময়ের ছাত্রনেতা ও পরবর্তীতে জাতীয় নেতা শাহজাহান সিরাজ। শাজাহান সিরাজের মৃত্যুতে ইতিহাসের একটি পাতা ঝড়ে পড়েছে। জাতির দুর্ভাগ্য নতুন প্রজন্মকে এ ইতিহাস জানানো হয় না। ওই সময় দুজন তরুণ একজন আ স ম আবদুর রব, আরেকজন শাজাহান সিরাজ তখন দেশের স্বাধীনতার ঝান্ডা তুলে ধরেছেন।