নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আজ ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় মিরপুর-১৪ নম্বরে অবস্থিত উত্তর জামেউল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে (পুলিশ ব্যাটালিয়নের উল্টা পাশে) অসহায়, দুঃস্থ ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তিনি বলেন মানুষ মানুষের জন্য কাজ করবে। এটাই রাজনীতি, এটাই আমাদের দীক্ষা। এই আদর্শই জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে ভালোবেসে মানুষের জন্য রাজনীতি করছেন। সেই দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে নিবেদিত প্রাণ হয়ে জাতির পিতার আদর্শে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে তারাই মিথ্যাবাদী, অসত্য কথা বলে। তারা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীদেরকে আশ্রয় দিয়েছে! জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে! শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাই সৃষ্টি করেছে!স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! হত্যাকারী খুনি জিয়াকে বিএনপি মুক্তিযোদ্ধা বলার চেষ্টা করে! খুনি জিয়া জাতির পিতার খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেছে! খালেদা জিয়া ইতিহাস বিকৃতি করেছে! স্বাধীনতা বিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে! মির্জা ফখরুল প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে! নতুন প্রজন্ম বুঝে গিয়েছে বঙ্গবন্ধুকে কে হত্যা করেছে! হত্যাকারী জিয়া কখনো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। জিয়া খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছে। জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! খুনি জিয়া মোস্তাক একই সূত্রে গাঁথা এই অশুভ অপশক্তিকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে! বিএনপি জামাত সুযোগ পেলেই অপরাজনীতি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে! বিরাজনীতি করে! বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হোক এটা তারা চায় না! অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়ার আমলে সবসময় ছিল কারফিউ! কোন গণতন্ত্র ছিল না! তারা স্বাধীনতা বিরোধী খুনিদের নিয়ে রাজনীতি করেছে! উগ্র সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ বিএনপি জামাতকে আদর্শবান নাগরিকদের দিয়ে মোকাবেলা করা হবে। যাতে কোন অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সজাগ থাকতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমরা গড়বোই গড়বো।এই হোক আমাদের শপথ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জননেতা এস এম মান্নান কচি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ, তিনি বলেন স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুর সাথে হাত মিলিয়ে মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক খুনি মোস্তাক ও জিয়া পরিকল্পিত ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্বপরিবারে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে। জাতির পিতা হত্যার সাথে জড়িত পলাতক খুনি এবং হত্যাকান্ডের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের এখনো মুখোশ উন্মোচন করা হয়নি। জাতির পিতার পলাতক খুনি ও ২১ শে আগস্টের খুনিদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতিকে কলংকমুক্ত করার আহবান জানান তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা একেএম আফজালুর রহমান বাবু। তিনি বলেন জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত না থাকতেন তাহলে কেন সেদিন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করে জাতির পিতার হত্যাকান্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিলেন! কেন স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আব্দুল আলীম, শাহ আজিজদের গাড়ীতে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন! রাজাকারের সাথে তাদের এত কিসের প্রেম ছিল! কেন খুনীদের যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে! এই প্রশ্নের জবার তারা দিতে পারবে না! হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। তার ছেলে তারেক জিয়া ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন নেতাকর্মীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে বিদেশে পালিয়ে আছে! তিনি খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারও গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক জিয়াকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসীর দাবী জানান। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেগা প্রকল্প সমুহ বাস্তবায়নের পথে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণে করোনা মহামারীর সময়েও কেউ না খেয়ে থাকেনি। তিনি সকলের নিকট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চান। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে, ইনশাল্লাহ। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, গণযোগাযোগও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, উপ ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মূর্তুজা হায়দার শরীফ সহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।