নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই কিছু রাজনৈতিক নেতা মনে করেন তাকে গালি দেয়া হয়েছে। আসলে, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃকি পরিবর্তন করতে হবে। দেশের মানুষ আর যেনতেন নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে। আজ (২৩ জুলাই) শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান একথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় শতকরা ৮০ ভাগ রাজনৈতিক দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বারবার সভা ডেকে ইনিয়ে-বিনিয়ে ইভিএম এর গুনাগুণ বর্ননা করছে। নির্বাচন কমিশনের বোঝা উচিৎ দেশের মানুষ কোন কারচুপির নির্বাচন গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ইভিএম বর্জন করছে, তখন নির্বাচন কমিশন ইভিএম এর গুনগাণ শুরু করেছে। এতে, জনমনে এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এখনো দেশের সকল ভোটার প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারে না, মার্কা দেখে নির্বাচনে ভোট দেয়। এমন বাস্তবতায় ইভিএম-এ নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা দুরভিসন্ধি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ১৯৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করার পর দেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। তারা দেশের জনগনের স্বার্থের রাজনীতির বিপরীতে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছে। দল দুটি উৎসবের নির্বাচনকে সহিংস করে তুলেছে। তাই এখন নির্বাচন যেন যুদ্ধ। যে দল জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হবে, তাদের নিশ্চিহ্ন হবার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। পরাজিত দলের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখা দুরুহ হয়ে পড়বে। এটা কোন রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না। এমন বাস্তবতা থেকে দেশ ও দেশের রাজনীতি নিরাপদ করতেই জাতীয় পার্টির সংগ্রাম।
এসময় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব- মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো- চেয়ারম্যান- এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, ফকরুল ইমাম এমপি, হাবিবুর রহমান, মিঃ সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ. টি. ইউ. তাজ রহমান, মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোঃ মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখ্ত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, এমরান হোসেন মিয়া, , মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল আলম রুবেল, জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান এমপি, মোঃ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, আহসান আদেলুর রহমান এমপি।