আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধায় গণপিটুনিতে নয়, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে আটককৃত ব্যক্তি সাখাওয়াত হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সাবেক স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। পরে এ ঘটনাটি ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু বলে করা অপপ্রচার চালানো হয়। নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি,তার সাবেক স্ত্রীর সাথে প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে সাবেক স্ত্রীর পরিবারের লোকজন সাখাওয়াতকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহতে পরিবার।
সূত্রে প্রকাশ,গাইবান্ধা শহরের সরকার পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের সাথে দুই বছর আগে খোলাহাটী ইউনিয়নের আনালেরতাড়ির বর্মত্বত গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর মেয়ে শিউলী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটে। বিচ্ছেদের পর শিউলি বেগমের সাথে একই গ্রামের বায়োজিত ইসলামের আবারও বিয়ে হয়। এদিকে শিউলীর সাথে সাখাওয়াতের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও দুজনের মধ্যে পূর্নরায় গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ১৬ মার্চ বুধবার রাতে সাখোয়াত তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শিউলীর সাথে গোপনে দেখা করতে যায়। এসময় ঘরে থাকা শিউলীর স্বামী বায়োজিদ ইসলাম ও তার স্বজনরা সাখাওয়াত হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হত্যাকারীরা কৌশলে ডাকাত ডাকাত করে চিল্লা চিল্লি করলে গ্রামবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে লাঠিশোঠা নিয়ে আসে পরে এ ঘটনাকে ডাকাত সন্দেহ গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালায় উক্ত পরিবার ও গ্রামের কিছু লোকজন ।
এ ঘটনার পর ৯৯৯ এর মাধ্যমে ১৭ মার্চ সকালে খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। এবং ঘটনায় পরে সাবেক স্ত্রীর বর্তমান স্বামী বায়োজিদ ও সাবেক স্ত্রী শিউলীকে আটক করে। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নয়, সাবেক স্ত্রীর পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে সাখাওয়াত হোসেনকে ।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।