সভাপতির বক্তব্য কমরেড সামাদ বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান উদ্বেগ—উৎকন্ঠা ও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে জনমনে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পরে সর্ব সম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল। বিএনপি সরকারের সময় মাগুরা উপনির্বাচনের ভোট ডাকাতির পরে জনগণ কোন দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সেসময় গণ আন্দোলনের চাপে বিএনপি সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পর চিরদিন ক্ষমতায় থাকার মানসে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সে ধারাটি বাতিল করেছে।
কমরেড সামাদ আরও বলেন, এখন আওয়ামীলীগ বলছেন তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে নেই। এই যুক্তি অচল সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের জনগণ চাইলে অবশ্যই এটা পরিবর্তন করা যাবে। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ও ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে। এই সরকারের অধীনে যত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়, এই সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাই।
সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান বলেন, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি এবং নির্বাচনে জনগণ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে সেরকম একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। শক্তিশালী স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে বাজার সম্প্রতি ডিম, ব্রয়লার মুরগী চিনি, আদা, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা একাকার। জনগন এখন সরকারের পদত্যাগ চায়। এই সরকারের পদত্যাগ দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।