নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তর্গত শেরেবাংলা নগর ও বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আজ ২৮ আগস্ট ২০২১ তারিখ আগারগাঁও তালতলা শেরেবাংলা নগরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে মশারী ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। বেলা ৪ টায় বাড্ডা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শোক দিবসের আলোচনা সভা ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ। তিনি বলেন স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু,১৫ আগস্ট ও ২১ শে আগস্টের খুনিরা এক ও অভিন্ন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে এবং দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে পরিকল্পিত ভাবে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিশ্ব মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল খালেদা তারেক বাবর গং। সেদিনের সেই লোমহর্ষক ভয়াবহ নৃশংস হামলায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আলোকোজ্জ্বল সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকচক্র বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি সকল নেতাকর্মীকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্রের অপতৎপরতা রুখে দিতে সবসময় সজাগ থাকার নির্দেশ দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা একেএম আফজালুর রহমান বাবু। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে ২১ বার ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকচক্রের হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শত সহস্র ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। খুনী জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরী দিয়েছে! আর খালেদা জিয়া স্বাধীনতার শত্রু নিজামী মুজাহিদদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়ীতে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছে! জননেত্রী শেখ হাসিনা বিলিয়ন ডলারের লবিস্ট আর বিশ্বমোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাদের বিচার করেছেন। জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। ২১শে আগস্টের ঘাতক চক্রকে বিচারের আওতায় এনেছেন। তিনি অবিলম্বে জাতির পিতার পলাতক খুনি ও ২১ শে আগস্টের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানান। পাশাপাশি ঘটনার নেপথ্যে জড়িত থাকা কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন। তিনি বলেন ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তিচক্র এবং ২১শে আগস্টের ঘাতক তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যেকোন মূল্যে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি চক্রকে রুখে দিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে যেকোন ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। যেকোন মূল্যে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির অপতৎপরতা রুখে দেওয়া হবে। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি কাজী সাহানারা ইয়াসমিন, আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈম ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন উপ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহেল কাফী,কার্যনির্বাহী সদস্য আবু জাফর, মোঃ ফয়সাল,শেরেবাংলা নগর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সাগর, বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাদশা সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।