নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শেরে বাংলার সমাধীতে শেরে বাংলার দৌহিত্র সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ শেরে বাংলাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতির পিতামহ ঘোষণা করার দাবি করেন।
তিনি বলেন, আপনারা জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ুন। সেখানে তিঁনি কিভাবে শেরে বাংলাকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। অথচ সেই দলের কর্মী হয়ে আপনারা তাঁকে অবজ্ঞা করছেন।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের কোন প্রতিনিধি শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা পদক দেওয়া হয়। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো কৃষিখাতে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন তাদেরকে শেরে বাংলা কৃষি পদক প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে যারা শেরে বাংলার নামটি মুছে ফেলতে চায় তারাই একদিন ইতিহাসের আস্থাখুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শেরে বাংলার দৌহিত্র ফাইয়াজুল হক রাজু, শেরে বাংলা ১৫০ বছর উদযাপন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম, তরুণ সংঘের চেয়ারম্যানন ফজলুল হক, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, মহাসচিব আর কে রিপন, বিশিষ্ট সংগঠক মোঃ মনির হোসেন, বিশিষ্ট সংগঠক মিলন মল্লিকসহ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলার সমাধীতে শ্রদ্ধা ও ফাতেহা পাঠ করেন।
আগামী ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় হোটেল সোনারগাঁও ইন্টারন্যাশনালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
এতে দেশী-বিদেশী অতিথিসহ সুধিজনরা উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জল ইসলাম।
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শেরে বাংলার নামে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সম্মানে একটি চেয়ার স্থাপন করতে হবে।
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শেরে বাংলার নামে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সম্মানে একটি চেয়ার স্থাপন করতে হবে।
এছাড়াও শেরে বাংলার নামে সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবি স্থাপন করতে হবে। শেরে বাংলার সমাধীচত্বরে শেরে বাংলা সেন্টার ও মিউজিয়াম নির্মাণ করতে হবে। প্রথম পদ্মাসেতুর নামকরণ আমরা শেরে বাংলার জন্য চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের সেই দাবি পুরণ করা হয়নি। আশা করবো দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর নামকরণ শেরে বাংলার নামে নামকরণ করা হোক। আগামী ২০২৪ এর ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত বছরব্যাপি দেশে-বিদেশে শেরে বাংলার ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন ও স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসমস্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয়।
Tags: শেরে