শেরপুর প্রতিনিধি♦♦
শেরপুরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও নৌকায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত (২৭ ডিসেম্বর) বুধবার রাতে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তা শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শহরে বাড়ানো হয় পুলিশি টহল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল রাতে সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় নৌকা প্রতীকের পথসভা চলাকালে ওই এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সমর্থক কয়েকজন যুবক ওই সভার সামনে দিয়ে একাধিকবার মোটর সাইকেলযোগে রাউন্ড দেয়।
এ নিয়ে নৌকা ও ট্রাক সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মিছিল থেকে লছমনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এ সময় তারা ওই কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর ও নৌকা প্রতীকে আগুন দেয়। পরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সমর্থকরা জড়ো হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে ওই সংঘর্ষের কথা শহরে ছড়িয়ে পড়লে শহরের রঘুনাথবাজার এলাকায় ট্রাক প্রতীকের এক সমর্থককে আটকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থকরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এই ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করে নৌকা মনোনীত প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসভা বানচাল ও নেতাকর্মীরা যেন সেখানে যেতে না পারে, সেজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমন ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও কর্মী সমর্থকদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে।
তবে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, আমাদের সুনিশ্চিত বিজয় জেনে আতিউর রহমান আতিকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ জন্য তিনি সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেরপুরে ভার্চুয়ালি নৌকার ভোট চাইবেন। তাই আতিক সাহেব অভিনয় করে সেখানে উপস্থাপন করার জন্য এ শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করছি।