রবিবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, ‘মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির অধ্যাদেশ জারির ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসার খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বৃদ্ধিপাবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে না নামে ও তাদের ভোগান্তি যাতে বৃদ্ধি না পায়। ’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে যে, বর্তমান সরকার কর আয় বৃদ্ধির জন্য পরোক্ষ করের ওপর অতিমাত্রার নির্ভরতা আরও বৃদ্ধি করছে। পরোক্ষ কর সাধারণত সাধারণ জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। কারণ, এসব কর সরাসরি পণ্যের মূল্য বা সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং জনগণ এগুলোর পুরো বোঝা বহন করে। বাজার নিয়ন্ত্রনে পুরোপুরি ব্যর্থতার মধ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগনের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।’
তারা বলেন, ‘যেখানে সরকারের উচিত ছিল, এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে দরিদ্র ও সাধারণ জনগণের সহায়তার পরিসর বৃদ্ধি করা এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। সেখানে সরকারের এই পরিস্থিতিতে আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা জনগণের দুর্ভোগকে আরও বৃদ্ধি করবে। যেখানে এ দেশের নাগরিকরা ট্রাকের পেছনে ৫ টাকা, ১০ টাকা কমে চাল, ডাল, তেল, চিনি কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেখানে জনগণের প্রতি কতটা দায়হীনতা অনুভব করলে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’