মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন পদ্মা নদী পথে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে ৪ মে দুপুরে মাদারীপুর থেকে ৫০ কেজি গাঁজা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় গাঁজা’সহ সুজন নামে একজনকে আটক করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। ট্রলারে থাকা অন্যেরা পালিয়ে যায়। ৪ মে মঙ্গলবার দুপুরে সখিপুর থানার কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদী বানিয়াল ঘাট নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় । গ্রেফতারকৃত সুজন মাদবর (৩৩) ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার চরমোনাই ইউনিয়নের চর গজারিয়া গ্রামের মৃৃত তোতা মিয়া মাদবরের ছেলে। পঞ্চাশ কেজি গাঁজা আটকের ঘটনায় ৫ মে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারের অস্থায়ী কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন পুলিশ সুপার এস.এম আশরাফুজ্জামান। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ভারত থেকে কাচামাল বহনকারী ট্রাকে মাদক বহন করে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এমন খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাদক কারবারীদের সঠিক খবর পেতে গোপনে বিশ্বস্ত সোর্সদের ব্যাবহার করেন। ৪ মে মাদারীপুর থেকে নদী পথে কাঁচা মালের ট্রলারে করে মাদক পাচার করা হচ্ছে বলে এমন খবর পেয়ে দ্রুত সখিপুর থানাকে অবহিত করেন পুলিশ সুপার, এরই ভিত্তিতে সখিপুর থানা পুলিশ পদ্মা নদীতে অভিযানে চালিয়ে একটি ট্রলার থেকে ৪টি বস্তায় প্যাকেট করা ৫০কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকবহনকারী একটি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এই গাঁজা ব্যাবসায়ীরা আন্তর্জাতিক মাদক ব্যাবসার সদস্য। এদের বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় সদস্যও রয়েছে। তিনি আরো জানান, গতকাল মঙ্গলবার শরীয়তপুরের সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নের পদ্মা শাখা নদীর বানিয়াল ঘাট নামক স্থানে থেকে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে সখিপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১৯(গ)/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মাদক ব্যাবসায় জড়িত অন্যে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের বর্তমান বাজার মূল্য অনুমানিক ৫লক্ষ টাকা বলে জানানো হয় প্রেস ব্রিফিংয়ে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, আমিনুর রহমান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ভেদরগঞ্জ সার্কেল) সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদারসহ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।