নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মানবিক ও যৌক্তিক কারণেই শিক্ষকদের সকল দাবি মেনে নেয়া উচিত সরকারের।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি আয়োজিত দেশের সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান ধর্মঘটে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিন যুগ ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ বিনা বেতন আবার কেউ সামান্য বেতনে শিক্ষাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় শিক্ষকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আজ শিক্ষকরা রাজপথে নেমে এসেছে। শীতের রাত উপেক্ষা করে টানা কয়েকদিন যাবৎ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে হাজার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষক তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, শিক্ষকরা বাধ্য হয়েই রাজপথে নেমে এসেছে। তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের স্বসম্মানে ঘরে ফিরতে সাহায্য করুন।
তিনি বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির আয়োজনে চলমান অবস্থান ধর্মঘটের প্রতি একাত্ততা ঘোষণা করে বলেন, শিক্ষকরা জাতির সম্পদ। তাদের স্নেহ-মমতায় শিক্ষার্থীরা আদর্শবান হিসেব গড়ে উঠে। শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন না করলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতএব শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে এই শিক্ষকদের ধর্মঘট ও অনশন চলাকালে সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব শিক্ষক সমিতির দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এত সময়েও সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়াটা কি প্রমান করে না সরকারের তাদের সাথে অনেকটাই প্রতারনা করেছে ?
বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ কাজী ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি এবিএম আব্দুল কুদ্দুস, মাষ্টার মো. শওকত আলী, আবু মুসা ভুইয়া, মুহা: বশির উল্লাহ আতাহারী, হাফেজ মাহমুদ, শামসুল আলম-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।