নগর প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জেবউননেছা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সাথে নারায়ণগঞ্জের নাম জড়িত। নারায়ণগঞ্জ একসময় শিল্প-সংস্কৃতিতে দেশকে পথ দেখিয়েছে। আমাদের সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জেলার সামাজিক সংগঠনগুলোর সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোকিত সমাজ গঠনের প্রচেষ্টায় সংগঠন সমাবেশ-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড.জেবউননেছা আরও বলেন, করোনাকালে অনেক নেতা ও সংগঠন কিন্তু পিছিয়ে গেছে। এরমধ্যেও কিছু প্রকৃত মানবসেবক এগিয়ে এসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের এ অবদান জাতি ভুলবে না। আসলে প্রত্যেকটি সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আজকে আয়োজকরা একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেন, আমরা যখন ছাত্র সংসদের রাজনীতি করতাম তখন কোন ছাত্রের দলীয় পরিচয় ছিলো না। কে হিন্দু কে মুসলমান, কে বিএনপি কে আওয়ামী লীগ। সবাইকে সমান অধিকার দেয়া হতো। কালক্রমে সে রাজনীতি এখন অনেকটা নেই। কিন্তু আমাদের জায়গায় ফিরে আসতে হবে। আমাদের মানবিক রাজনীতি করতে হবে। করোনা মহামারির সময়ও আমরা যেমন কোন ব্যক্তির নাম-পরিচয় দেখেনি ঠিক তেমন।
বন্দর থানা সংগঠন সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটি ‘মাদক-ধর্ষণ-খুনসহ সকল অন্যায় দূর করে আলোকিত সমাজ গঠনের প্রচেষ্টায় সংগঠন সমাবেশ’-শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, খালেক মাস্টার ডায়বেটিস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. এ কে শফিউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাবেশের সমন্বয়ক সাংবাদিক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ও ফরিদ আহমাদ রানা।
সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন ও পারস্পরিক সহেযাগিতার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বন্দর উপজেলার ৫৬টি সংগঠনকে সমবেত করে তাদের সম্মাননা দেয়া হয়।
সমন্বকরা জানান, ধারাবাহিকভাবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলার সামাজিক সংগঠনগুলোকে একত্রিত করে সম্মাননা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বন্দর উপজেলার পরে খুব শিগগির নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সংগঠনগুলোকে নিয়ে এ ধরণের সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বন্দরের সোহরাওয়ার্দী ক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জালালউদ্দিন জালু, এসএসসি ব্যাচ’ ৯০ এর কো-অর্ডিনেটর আজাদ মাহমুদ ওসমানী।
আরও উপস্থিত ছিলেন-মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আবুল কালাম আজাদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মহানগর শাখার সহসভাপতি সুব্রত ভৌমিক কুটু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মহানগরের যুগ্ম-সম্পাদক নির্মল গোসাই, দপ্তর সম্পাদক রিপন ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা সানোয়ার হোসেন লাভলু প্রমুখ।