নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, মার্টিন লুথার কিং এর সংগ্রামী জীবন অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অসাধারণ শক্তি আর অনুপ্রেরণার উৎস। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র এমন একজন নেতা যিনি সব দেশে, সবার কাছে প্রিয়। পৃথিবীর হাতেগোনা যে কয়জন রাজনীতিবিদ সারা বিশ্বে সমান ভাবে সম্মানিত, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র তাঁদের অন্যতম।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মানবতাবাদি নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলেঅচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র সারা জীবন মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করেছেন, কথা বলেছেন। তাঁর মত সাহসী মানুষ বর্তমান যুগে খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। খোদ আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের অধিকারের পক্ষে এমন সব উক্তি করেছেন, এমন সব বানী দিয়েছেন, যা মানুষকে তাদের অধিকারের দাবী জানানোর সাহস এনে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের উক্তি ও ব্যক্তিত্বের প্রভাব এতটাই ছিল যে, শেষ পর্যন্ত তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কারণ তাঁর ভাষণ আর উক্তি গুলোর মাঝে এমন শক্তি ছিল, যা সাধারণ মানুষকে দিন দিন সাহসী থেকে আরও সাহসী করে তুলছিল। এমন সব সত্য তিনি বলতেন – যা সেই সময়কার শাসকগোষ্ঠীর মুখোশ সবার সামনে খুলে দিচ্ছিল। আমেরিকায় আফ্রিকান আমেরিকানদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছিল এই নেতার হাত ধরেই।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। ১৯৬৮ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন আধুনিক বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম এই নেতা ও বক্তা। তবে মৃত্যুর আগেই তিনি এমন কিছু কাজ করে গেছেন, এবং এমন কিছু বাণী বা উক্তি দিয়ে গেছেন, যা ইতিহাসকেই বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজও মার্টিন লুথারের উক্তি, ভাষণ ও আদর্শ মানুষকে সাহস যুগিয়ে চলেছে, অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। হতাশা আর অন্ধকারের মাঝে সাহস আর আশা খুঁজে পাচ্ছে মানুষ তাঁর উক্তি থেকে।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ জলিল বলেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র জানতেন নাগরিক অধিকার আদায়ের মূল কৌশল হচ্ছে সংঘাত বিহীন প্রতিবাদ, অহিংস আন্দোলন। বলা হয় কিং ভারতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধীর দ্বারা প্রভাবিত। তিনি এ্যালাবামার বার্মিংহামে পুলিশের হামলা স্বত্বেও শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ করেন।
তিনি বলেন, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের স্মরণীয় উক্তি ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ বক্তৃতা মূলত কৃষ্ণাঙ্গ দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্দোলন হলেও তা পরিণত হয় নাগরিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ১৯৬৩ সালের আগস্ট নাগাদ, সমতার দাবীতে আড়াই লাখ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ মার্চ অন ওয়াশিংটনে অংশ নেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমা মিজু, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, প্রকোশলী রেদোয়ান শিকদার, শাহ আলম, নুর মো. বাবু প্রমুখ।