নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সুইচ গেট সংলগ্ন পল্লী ক্যাফেতে বিনামূল্যে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে। বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও কো-চেয়ারম্যান ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও রোগী কল্যাণ সোসাইটির কো— চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, আমেরিকার পরিবেশবাদী প্রতিষ্ঠান সিটিজেন ক্লাইমেট অফ ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশি সমন্বয়কারী মোঃ গালিব হোসাইন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন খান শান্ত, মোঃ পেয়ারুল হক হিমেল, জাতীয় যুবসংহতির সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন, পল্লী ক্যাফের পরিচালক মুজাহিদ আলম খান, সবুজ আন্দোলনের সদস্য আমেনা আক্তার উর্মি।
প্রধান অতিথি বাপ্পি সরদার তার বক্তব্যে বলেন, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বন্ধ ও সরবরাহে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।বর্তমান সময়ে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রুত বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পতিত হবে।
বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, আমরা দেশের প্রান্তিক জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে জড়িত সবাইকে রোগীর জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে সেবা দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে ৪ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়:
১) স্বাস্থ্য বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য লোকবল বৃদ্ধি করা এবং দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২) সারাদেশে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা শহরে আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
৩) ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের সাথে জড়িতদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি আওতায় আনতে হবে।
৪) ভেজাল ওষুধের অপকারিতা ও সরবরাহ বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিনামূল্যে রোগীদেরকে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এসময় বাংলাদেশের রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রায় শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।