নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উপমহাদেশের অন্যতম সার্জন, ভাষা সৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
দেশবরেণ্য শল্যচিকিৎসক, একুশে পদক প্রাপ্ত, ভাষা সৈনিক প্রফেসর ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
রবিবার (১১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় ভাষা সৈনিক মির্জা মাজহারুল ইসলামের প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এদেশের মানুষের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বীজ বপিত হয়েছিল তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধীর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং আহতদের পাশে চিকিৎসকের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ভাষা আন্দোলনে তিনি জড়িত হয়েছিলেন সূচনাপর্ব থেকেই। তিনি ভাষা আন্দোলনের প্রথম দু”টি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন (১৯৪৭-১৯৪৮) এবং প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মানে তার বিশেষ অবদান উল্লেখযোগ্য।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করেন। ভাষা আন্দোলনের প্রায় প্রতিটিঘটনায় মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় (৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭), উক্ত কমিটিতে তিনি প্রতিনিধি হিসেবে অন্তভূক্ত হন। তিনি ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী ছিলেন। ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর পুলিশের পামলার পর তিনি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় অসংখ্য আহত ভাষাকর্মীর অপারেশন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন আমতলার জনসভায়। গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ২২ ফেব্রুয়ারি।