রবিবার ১৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “পিপল’স পাওয়ার পার্টি'”র উদ্যোগে ‘ভারতীয় মিডিয়া’র অপপ্রচার ও পতিত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দানের প্রতিবাদে- এক “বিক্ষোভ সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, পিপল’স পাওয়ার পার্টির চেয়ারম্যান ফখরুল আহসান রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র, জুলাই আগস্ট বিপ্লবের মৃত্যুঞ্জয়ী বীরযোদ্ধা, ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বিপ্লবের নায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মেজর বজলুল হুদার সহদর ভাই, ‘এসো দেশ গড়ি’র সভাপতি, সাপ্তাহিক দায়িত্বের সম্পাদক, প্রবীণ-তারুণ্য নুরুল হুদা ডিউক, ইনকিলাব পার্টির মহাসচিব মনিরুজ্জামান সোহেল, গণঅধিকার পরিষদের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান রিজু, পিপিপি’র মহাসচিব নূর মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন মকুল, প্রচার সম্পাদক এমদাদুল হক রতন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত বীর মোঃ মুস্তাকিম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ ও জাতি এক ভয়ানক সংকটকাল অতিক্রম করছে। পরাজিত হাসিনার আওয়ামী অপশক্তি, আধিপত্যবাদী ভারতের ক্রীড়নক তথাকথিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকন এবং ভারতের কিছু কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশে-বিদেশে মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী বানিয়ে ও সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের বিরতিহীন অপকর্ম এবং অপপ্রচার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ অস্তিত্বের প্রশ্নে ধর্ম বর্ণ রাজনৈতিক মতভেদ সবকিছু উপেক্ষা করে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ স্থানে পৌঁছে গেছি। বক্তারা আরো বলেন, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন অফিসে ভারতের উগ্রবাদীরা হামলা চালিয়েছে, ত্রিপুরায় বাংলাদেশ হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। সিলেটে এবং বেনাপোল বর্ডারে ভারতীয় উগ্রবাদীরা মিছিল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অপচেষ্টা করেছে। আমরা এই সকল ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা ভারত সরকারকে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। বক্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার দলসমূহের মধ্যে ইতোমধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে উঠেছে।
বক্তারা প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। এদেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে ধর্ম কর্ম এবং জীবনযাত্রা পরিচালনা করে। এখানে কোন ধর্মের মানুষের সঙ্গে কোন ধর্মের মানুষের বিরোধ নেই। স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। পৃথিবীর যত দিন থাকবে বাংলাদেশ ততদিন স্বাধীনভাবে সভ্য জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে থাকবে ইনশাআল্লাহ।