||শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা||
অগ্রহায়ণ মাস শুরু হয়েছে। পৌষ মাস আসন্ন। গ্রামীণ জনপদে আক্ষরিক অর্থে মাঘ মাস আসে শীতের দাপট নিয়ে। আসলে পৌষের শুরুতেই উত্তরের বিভিন্ন জেলায় শীত জেঁকে বসতে শুরু করে। শীতের তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় মানুষের কষ্ট। হাড়কাঁপুনি শীতে গরিব মানুষের কষ্ট অবর্ণনীয়। শৈত্যপ্রবাহের কারণেও ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবন-জীবিকা। তীব্র শীতে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় চরমে। তীব্র শীতের কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি লক্ষনীয়। অনেক স্থানে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায় না। উত্তর-পশ্চিম জনপদে শৈত্যপ্রবাহে গরম কাপড়ের অভাবে শীতের কষ্টে ভুগে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষজন। এ সময় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের নৈতিক দায়িত্ব। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর মেন্দা এলাকার মরহুম আবুল হোসেন (অবঃ সেনা সদস্য) এর চার ছেলের মধ্যে সবার বড় মো.আলমগীর হোসেন (লিটন)। যিনি সুইডেনে বসবাসকারী ও সে দেশের নাগরিক। তিনি হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।সোমবার (২৯ নভেম্বর) নিজ এলাকা উত্তর মেন্দার দরিদ্র ও অসহায় মানুষ, যাদের শীতবস্ত্র নেই, শীত নিবারণের জন্য সামান্য একটি কম্বল নেই, এখন যত দ্রুত সম্ভব এসব মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে কম্বল বিতরণ করা হয়। লিটনের ছোট ভাই আমির হোসেন সুমনের তত্বাবধানে গ্রামের প্রায় ৬০ টি পরিবারের মাঝে এসব শীত সামগ্রী বিতরণ করা হয় বলে জানান সুমনের মা। আমির হোসেন সুমন জানান, শীতের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কিছু উপকার করার চেষ্টা মাত্র। সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবান মানুষদেরও এ সময় এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যেমেই শীতের কষ্ট থেকে দরিদ্র মানুষদের-কে রক্ষা করা সম্ভব। সুইডেন প্রবাসী আলমগীর হোসেন (লিটন) ফোনে সকালের কাগজ কে জানান, শীতে অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে আমি ছোট ভাই সুমনের সাথে যোগাযোগ করে কিছু কম্বল এলাকার মানুষ কে দিতে বলি। তারই অংশ হিসেবে আজ আমার নিজ গ্রাম উত্তর মেন্দায় ৬০ টি পরিবারের মাঝে এসব শীত সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইচ্ছা ছিলো আরো বেশি শীত সামগ্রী বিতরণের। কিন্তু ব্যবসায়িক কিছু কারণে এবার এর বেশি সম্ভব হলো না। কিন্তু আগামী বছর থেকে আরো বেশি করে দেবার ইচ্ছে আছে বলে জানান লিটন। আসুন আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করি।