শেখ সাখাওয়াত হোসেন, পাবনা:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া করে প্রেমিকা সাবিনা খাতুন (৩৪) কে নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে এসে কৌশলে বাড়ী থেকে পালিয়েছে গেছেন আজির উদ্দীন (৪২) নামের এক ভন্ড প্রেমিক। এদিকে বিবাহের দাবী নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন সাবিনা খাতুন। গত বুধবার (১০ নভেম্বর) উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বাঐহাট এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। আজির উদ্দীন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ওই গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে ও সাবিনা খাতুন ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের উত্তর দরিপাড়া গ্রামের সোহরাব মোল্লার মেয়ে। বিষয়টি ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যস্ত রয়েছে কতিপয় স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান। অন্যদিকে সাবিনা তার বাবার বাড়ীতে অবস্থান করছেন এবং লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বাড়ীর বাহিরে বের হতে পারছেন না। যে কোনো মুহূর্তে আত্মহত্যার ন্যায় অঘটন ঘটে যেতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঐহাট এলাকার আজির উদ্দীন প্রায় দেড় যুগ আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগ বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে কোনো সন্তানাদি নেই। তবে পালিত এক কন্য সন্তান রয়েছে। এমন বিষয় নিয়ে তাদের পরিবারে মাঝে মধ্যেই পারিবারিক অশান্তি বিরাজমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। অপরদিকে সাবিনা খাতুন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জননী। কিন্তু ২০০৯ সালে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করার কিছুদিন পর থেকেই দরিপাড়া পিতার বাড়ীতে তিনি বসবাস করে আসছিল। সাবিনা দাবী করেছেন, আজির উদ্দীন কৃষি কাজ করার সুবাদে সাবিনা খাতুন এর বাড়ীর পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় তাদের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সেই সস্পর্ক রুপ পায় প্রেমে। তাদের প্রেমের সুবাদে মাঝে মধ্যেই অন্তরঙ্গ মুর্হূতুও কেটেছে । তাদের এভাবে প্রায় ৫ বছর কেটেছে এর ধারাবাহিকতায় গত ২০/২২ দিন ধরে আজির উদ্দীনের স্ত্রী তার বাবার বাড়ী অবস্থান করেন। ঘটনার দিন আজির উদ্দীন তার প্রেমিকা সাবিনা খাতুনকে বাড়ীতে স্ত্রী না থাকার কথাটি নিশ্চিত করেন এবং নিজ বাড়ীতে সাবিনা খাতুনকে বিবাহের প্রলোভনে ওই দিন রাঁত সাড়ে ১০টার দিকে নিয়ে আসেন। এসময় তার বাড়ীতে আজির উদ্দীন ও সাবিনা খাতুন ছাড়া অন্য কেহ ছিল না। পরের দিন সকালে এঘটনা জানাজানি হলে আজির উদ্দীন এর স্ত্রী বাড়ীতে হাজির হয়ে সাবিনা কে মারধর শুরু করেন । অবস্থা বেগতিক দেখে ইতোমধ্যে আজির উদ্দীন বাড়ী থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার বিষয়ে জানতে আজির উদ্দীনের মোবাইল ফোনে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি পড়ে কথা বলবেন বলে কেটে রেখে দেন। পুনরায় ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার বিষয়ে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল জলিল জানান ঘটনটি তিনি জানেন, তবে ঘটনার যা কিছু রটে ও তা কিছু বটে। এমনিতে একটি মেয়ে অন্য বাড়ীতে এসে বসে থাকবে কেন? এ ব্যাপারে ১নং ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মো. গোলাম ফারুক টুকুন বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ও সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. ফয়সাল বিন আহসান জানান, ঘটনার বিষয়ে তিনি মৌখিক শুনেছেন কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।