শেখ সাখাওয়াত হোসেন, পাবনা:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাঁর-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাঁর-ভাঙ্গুড়া ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলীর বাড়িতে।রবিবার (২১ নভেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তখন ওই যুবলীগ নেতা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে জানালা দিয়ে বাইরের আগুণ চোখে পড়তেই তিনি চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। কোরবানের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পাঁর-ভাঙ্গুড়া গ্রাম থেকে ইউপি সদস্য পদে হারুনুর রশীদ ও আবদুর রশিদ নামে দু’ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তফসিল অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার কথা থাকলেও বিধি লংঘন করে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা গভীর রাত পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ করেন। রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রশিদের সমর্থক ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কোরবান আলী নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। রাঁত সাড়ে তিনটার দিকে পেট্রোলের গন্ধে তার ঘুম ভেঙে গেলে জানালা ও ভেতরে আগুন দেখতে পান। এসময় তিনি ঘর থেকে বের হতে চাইলে বাহির থেকে দরজা আটকানো থাকায় বের হতে পারেনি। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে তাকে বের করেন এবং আগুন নেভান। আগুনে ঘরের জানালা সহ ভিতরের কিছু জিনিসপত্র পুড়ে যায়। যুবলীগ নেতা কোরবান আলী বলেন, নির্বাচন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। অভিযোগের বিষয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, আগুন দেওয়ার ঘটনাটি সাজানো নাটক। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেও তিনি দাবি করেন। অপর প্রার্থী আবদুর রশীদ বলেন, আমার মিছিল ও সমাবেশে লোকজনকে আসতে বাধা দিয়েছিল হারুন ও তার লোকজন। তারাই ঘটনাটি ঘটাতে পারে। ভাঙ্গুড়া থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস.আই মুরাদ বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সোমবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সময় আংশিক সত্যতা পেয়েছেন। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু.ফয়সাল বিন আহসান জানান, তদন্তের পর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রমাণ মিললে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।