এস এম সাব্বির হোসেন,কয়রা♦♦
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় পানির সংকট দীর্ঘদিনের।এই সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর প্রচেষ্টায় উপকূলবাসীর জন্য পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) উপজেলা পরিষদ মাঠে সকাল ১০ টায় পাইকগাছা কয়রা নিরাপদ পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ট্যাংক বিতরণের অংশগ্রহণ করা হয়েছে।
এতে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইসতিয়াক আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পানি সংরক্ষণের জন্য। ১ হাজার ৫’শ পরিবারের মাঝে ৩ হাজার লিটারের জলাধার(পানির ট্যাংক) বিতরণের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথি খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু।
এসময় প্রধান অতিথি খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বর্তমান সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, উপকূলীয় এলাকা কয়রা লবণাক্ত প্রবণ এলাকা হওয়ায় সুপেয় খাবার পানির খুবই সংকট ছিল দীর্ঘদিনের।আমার নির্বাচনী ইসতেহার অনুযায়ী উপকূলীয় এই সকল জনগণকে এই সংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখের কথা বললে। তিনি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য তীব্র পানি সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে স্পেশাল বরাদ্ধ দেন। আশা করি এ অঞ্চলের মানুষ এবার দীর্ঘদিনের পানি সংকট থেকে মুক্ত পাবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব পৃথিবীর অন্যান্য বড় বড় দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেদের যোগ্যতার জানান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদের ছোট্ট দেশকে পৃথিবীর বুকে বার বার করেছে সম্মানিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের আপামর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকটি খাতে যেমন বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান, আইসিটিসহ প্রতিটি খাতে যথাযথ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নকে গতিশীল করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০০ পরিবারের মাঝে ৩০০০ লিটারের পানির ট্যাংকি বিতরন করা হয়। তীব্র লবনাক্ততা ও ভূ-প্রকৃতির কারনে এ এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা যায় না। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ পানি এমনকি রান্নার পানির তীব্র সংকটে হাঁসফাস করেন। এ অবস্থায় পানি সংরক্ষণের ট্যাংক পেয়ে পরিবার গুলো স্বস্তি প্রকাশ করেন। কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি গ্রামের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন এখন বয়সের ভারে খুব বেশি চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। তবে বেঁচে থাকার তাগিদে প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার হেঁটে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় তাঁকে।
আমেনা বেগম জানান, দিনে দু-তিনবার অনেক দূর হেঁটে পানি আনতে হয়। মাজায় আর পারে না বাবা। কোনো ছেলে সন্তান নেই আমার। পানির পাত্র না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি ধরে রাখতে পারিনি। বিনামূলে পানির ট্যাংকটি পেয়ে আমার খুব উপকার হবে। কষ্ট অনেকটা কমবে। আমেনার মতো এমন অনুভূতি প্রায় সবারই উপকার ভোগীর ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. কমলেশ কুমার সানা,অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম), ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, আব্দুস সামাদ গাজী,জিয়াউর রহমান জুয়েল, আছের আলী মোড়ল,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাইন বিল্লাহ মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড়, আওয়ামীলী নেতা জিয়াদ আলী, যুবলীগ নেতা এ্যাড. আরাফাত হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু প্রমূখ।
Tags: বৃষ্টির পানি