কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ৭ আসামিকে ফাঁসির আদেশ ১ জনের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাস প্রাপ্তের নাম শম্পা।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান রায় প্রস্তুত করতে না পারায় রায় ঘোষণার জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ততকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজপত্র ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
আট আসামীর মধ্যে ইমন, জাহাঙ্গীর থাকলেও মামলার প্রধান আসামী গোলজার, শিবু, আসিফ, তানু এবং টুন্ডা আমিন পালাতক রয়েছে। আর শম্পাকে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে, কারাগার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সে জেলখানা থেকে খালাস পাবে।
এ রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক বলেন,এ রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখন রায়ের ফাঁসি দন্ডপ্রাপ্ত বাকি পলাতক আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় এনে ফাসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার দাবী জানান।