অনলাইন ডেস্ক♦♦
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনেকে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক নিয়ে জানেন না। শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির আগেই বাল্যবিবাহের মাধ্যমে মেয়েটির উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে মেয়েটির সম্ভাবনা নষ্ট হয়।
এমনকি অল্প বয়সে মা হয়ে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু ঝুঁকি তৈরী হয়। প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন ও সচেষ্ট হলে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সবার আগে সচেতন হতে হবে। কারণ অভিভাবকগণ চাইলেই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব। বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা বন্ধ করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে নতুন আইন করতে হবে। মেয়েদেরকে কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদেরকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলতে হবে।
বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ, এই বিষয়টি সমাজে সবার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মাধ্যমি ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্ধীদেরকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।
যুবক-যুবতীসহ সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত হতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিকাহ রেজিস্ট্রার, ইমাম, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
নিকাহ নিবন্ধনের সময় বর ও কনের সঠিক জন্ম তারিখ ও বয়স নিশ্চিত হয়ে নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন ও নিকাহ নিবন্ধন/তালাক সনদ ডিজিটালাইজড করতে হবে। জন্ম সনদ ও নিকাহ সনদ জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এশিয়া ছিন্নমূল বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে (১৭ জুন) শনিবার সকালে ঢাকা বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ সেমিনার হলে আয়োজিত ‘নিকাহ নিবন্ধন দাম্পত্য জীবনে শান্তির সোপান’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মার্ট সম্মাননা প্রদান।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রেরণা ‘ভাইয়েরা আমার’ শীর্ষক বই প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চিত্র পরিচালক মাজহারুল ইসলাম খোকন, দৈনিক একুশে বানীর সম্পাদক আশরাফ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম বাবর, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও গণফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম।
আলোচনা শেষে দেশ-জাতির সমৃদ্ধি ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।
Tags: বাল্যবিবাহ