জাহাঙ্গীর আলম,মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া প্রতিনিধি:
বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে উৎপাদিত শাকসব্জি গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আপনাদের অনেকেরই জানা আছে বাংলাদেশের অন্যতম ও সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়ি হচ্ছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি জমিদার বাড়ি।১৯৮৭ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। বছরের শুরুর দিকে অর্থাৎ মার্চ মাসের প্রথম দিক থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারীভাবে বন্ধ আছে সকল প্রকার দর্শনার্থীদের জন্য। বন্ধের এই সময়ে জমিদার বাড়ির দেখাশোনা ও পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত ১৩ জন কর্মচারী মিলে জমিদার বাড়ির ভিতরে শাকসব্জির চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কর্মচারী বৃন্দ জানিয়েছেন জমিদার বাড়িতে উৎপাদিত শাক সবজি তিন ভাগ করে এক ভাগ এলাকার গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ,একভাগ নিজেদের খাওয়ার জন্য এবং এক ভাগ বিক্রি করে উৎপাদনের খরচের যোগানের চাহিদা মিটানো হয়। তবে কঠিন পরিশ্রমের জন্য আলাদা কোনো পারিশ্রমিক নেওয়া হয় না। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় জমিদার বাড়ির ভিতরে মূলা,বেগুন,ঢেঁরস, ডাটা, পুঁইশাক ও বরবটি সহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ করা হয়েছে।
শাকসবজি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কর্মকর্তা সঞ্জয় বড়ুয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চ্যানেল২৩ টেলিভিশনের মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম এবং জমিদার বাড়ির সকল কর্মচারী বৃন্দ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।প্রধান অতিথি সঞ্জয় বড়ুয়া তার বক্তব্যে বলেন আমাদের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই কথার উপর উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা এই শাকসবজি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে দুইবার গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে শাকসবজি বিতরণ করা হয়েছে । ভবিষ্যতে সবজির ফলন ভালো হলে আরো বেশি পরিমাণে এলাকার সমস্ত গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে দেওয়া হবে।এই বিষয়ে জমিদার বাড়ির কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে এক দুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের পরিশ্রম করতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে আমরা মাস্টার রুলে কাজ করছি অনেক বছর ধরে । আমাদের চাকরি স্থায়ী করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের চ্যানেল২৩ টেলিভিশনের মাধ্যমে আহ্বান জানাচ্ছি।