জাহাঙ্গীর আলম, মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া প্রতিনিধি।
ছেলেমেয়েদের মননশীলতা বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার বিকল্প পৃথিবীতে অন্য কোন মাধ্যম আছে?এই প্রশ্নটি ছুড়ে দিলে সবাই বলবে না অন্য কোন মাধ্যম নাই। তাহলে করোনা ও বন্যা কালীন এই সময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা সহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ।এই সময়ে ছেলেমেয়েরা কিভাবে তাদের দিন কাটাচ্ছে? সচেতন অল্পকিছু অভিভাবক হয়তো খোঁজ রাখছেন নিজের সন্তানের।বাকি অভিভাবকদের নানান ধরনের অভিযোগ। আসলে পৃথিবীতে প্রকৃতি যেখানে বৈরী আচরণ করছে সেখানে অবিভাবকগণের আর কি করার থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ ঘর বন্দী তার উপর আবার বন্যা। দীর্ঘ সময় বিরতিতে ছেলে মেয়েরা মোবাইলে আসক্তি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কিছু অভিভাবক। সারাদিন ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং মোবাইলে গেমস খেলে দিন পার করছে কিশোর কিশোরীরা। তবে হতাশ হওয়া কিছু অভিভাবকের কাছে থেকে জানা যায় তাদের ছেলেরা ভূল মানুষের সাথে মিশে নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। পড়াশোনা করার কথা বললে নানান বাহানা করে। আসলে যে সময়টাতে তারা খেলা ধুলা করত সেই সময়টা বাজে ভাবে কাটাচ্ছে। সরজমিনে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার প্রধান প্রধান স্কুল ও কলেজের আঙিনা পরিদর্শন করে দেখা যায় বন্যার পানি মাঠ থেকে নেমে গেলেও খেলার অনুপযোগী রয়েছে মাঠ। সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এখনো বন্যার পানি রয়ে গেছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে পানি আসার সময় যেকোনোভাবে এসেছে তবে পানি নামার জন্য তেমন রাস্তা নেই। বালিয়াটি মিনি স্টেডিয়াম থেকে পানি নেমে গেলেও মাঠে রয়েছে কাঁদা। মাঠে নিয়মিত কিছু খেলোয়াড় খেলার চেষ্টা করলেও কাঁদার কারণে পারেনি। সাটুরিয়ার বরাঈদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনের মাঠে ও রয়েছে কাঁদা ও হালকা পানি। তাছাড়া বৃষ্টি ও ময়লার কারণে খেলা ধুলায় সমস্যা হচ্ছে উপজেলা সদরের সরকারি সাটুরিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। সরজমিনে দেখা যায় স্কুলের মাঠের একপাশে ময়লার সয়লাব হয়ে আছে এবং লোক জন মাঠে গরুর জন্য ঘাস তুলছে। এমতাবস্থায় স্ব স্ব স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অনুরোধ বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর অতি দ্রুত খেলার মাঠ খেলার উপযোগী করে তুলতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।