বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে সোহান খান নামে এক ব্যাবসায়ীকে মেরে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত ব্যবসায়ী সোহান খান তার ব্যবসায়ীক পার্টনার শাহনাজ মিয়াকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সোহান খান (৩০), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং-নবীগঞ্জ বাজার, অলিমপিয়া অফিস সংলগ্ন, ২৪নং ওয়ার্ড, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়নগঞ্জ। আমি ৫ জন পার্টনার নিয়া ইট, বালু, সিমেন্টসহ কনস্ট্রাকশ এর যাবতীয় মালামালের ব্যবসা করি। থানায় আসিয়া এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, বিবাদী ১। শাহানাজ মিয়া (৪৫), পিতা-ফকির সেক্রেটারী, সাং-নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া, ২। আলম (২৮), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-কদমতলী, ৩। সনেট (৩০), পিতা-ইনসুব আলী, সাং-কদমতলী, সর্ব থানা-বন্দর, জেলা নারায়নগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন বিবাদী। দীর্ঘদিন যাবত বিবাদীদের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া অদ্য ইং ০২/০৬/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমি, আমরা ব্যবসায়িক পার্টনার (১) আশিক (৩১), (২) আলি সিকদার (৩৫), (৩) অনিক (৩১), সহ ৪জন বাসায় আসার পথে ২নং এবং ৩নং বিবাদীদ্বয়ের বাড়ির পাশে কদমতলী রোডে কাচা রাস্তায় পৌছাইলে বিবাদীরা আমাদের পথরোধ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা চাপাতি দিয়া আমার মাথার পিছনে ডান পাশে কোপ মারিয়া রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। অন্যান্য বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার মৃত্যু নিশ্চিত করিতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী আলম এর হুকুমে ৩নং বিবাদী সনেট আমার সাথে থাকা ব্যবসায়িক নগদ ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা নিয়া যায়। আমাকে উদ্ধার করিতে আমার পাটনার, আশিক, আনিল ও অনিক আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা কাঠের দাসা, লোহার রড দিয়া আমার পার্টনারদেরকেও এলোপাথারিভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদীরা এই বিষয়ে থানা পুলিশের সহায় নিলে পরবর্তীতে আমাদের কাউকে পাইলে মেরে লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে সাথে থাকা পার্টনারদের সহায়তায় বন্দর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়া চিকিৎসা করাইয়া সামান্য সুস্থ্য হইয়া বিষয়টি আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার গন্যামান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।