টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
নভেল করোনা ভাইরাসের নগ্ন থাবায় বাংলাদেশসহ বহিঃবিশ্ব আক্রান্ত। প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ অচল করে দিয়েছে সারা বিশ্ব। যার আঁচড়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু তাড়া করে ফিরছে মানুষকে। এ ভাইরাসের আক্রমণে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার প্রভাব পরেছে আমাদের দেশেও। তবু পিছিয়ে নেই এদেশের কিছু জনবান্ধব চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ সহ সরকারী – বেসরকারি কর্মকর্তা। তারা করোনার সাথে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছে এখনও। এরকম সম্মুখ যোদ্ধা জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত লড়ে যাচ্ছেন। করোনা জ্বরে যখন সারাদেশ তথা নাগরপুর আক্রান্ত তখনও তিনি ঘরে ছোট্ট দুটি শিশু রেখে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন। করোনার বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াইটা করতে হবে তা সাধারণ মানুষকে শিখিয়েছেন পাশে থেকে। তিনি নাগরপুর উপজেলার অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। নাগরপুর বাসীর কিসে ভালো হয়, কি করলে তারা শান্তিতে থাকতে পারবে এটাই ছিলো তার প্রধান লক্ষ্য। নাগরপুরবাসীকে ভালো রাখার জন্য এমন কিছু নেই যা সাধ্যের মধ্যে তিনি করেননি। যার বর্ণনা এই স্বল্প পরিসরে বলা সম্ভব নয়।
সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম। তিনি একজন সরকারী কর্মকর্তা ছাড়া আর কিছু নন।কিন্তু তিনি তার কর্মে নাগরপুর বাসীর আত্বার আত্মীয় হয়ে উঠছেন। সুখে – দূঃখে তার কাছে ছুটে আসা মানুষগুলো নিশ্চয়ই তাকে মনে রাখবে আজীবন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব রোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশিত এ উপজেলায় রাষ্ট্রীয় সকল কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন দক্ষ হাতে। করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব থেকে এ পর্যন্ত, বন্যা সহ প্রাকৃতিক সকল মহামারীতে তাকে সম্মুখে দেখেছে নাগরপুরবাসী। হাজার হাজার অসহায় মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চাল ও শিশুখাদ্য সামগ্রী এবং ২৫’ শ করে টাকাসহ অসহায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন সবাই করেছেন সম্মুখে থেকে।
করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত সরকারী সকল নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে ও পাশে থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন প্রতিনিয়ত । করোনাকালীন মৃত ব্যাক্তিদের দাফন, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাফন কাফনের সকল ব্যবস্থা করেছেন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে। করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পেশার মানুষের নামের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সকলের সহযোগিতায় নাগরপুরকে অনেকটাই করোনা মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,মাস্ক পরিধান করা সহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান ও সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা, বাজার মনিটরিং ও জনগণকে সচেতন করতে তার প্রান্তকর প্রচেষ্টা অব্যহত ছিলো । তিনি ক্ষেত্রবিশেষ আইন অবমাননাকারীদের অর্থদন্ড প্রদান করে শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। তার উদ্দেশ্য একটাই
‘ ভালো থাকুক নাগরপুরবাসী ‘।
উল্লেখ্য, সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি ২০১৩ সালে ৩১ তম বিসিএস ক্যাডারের একজন সৎ,নির্ভিক ও জনবান্ধব একজন কর্মকর্তা। তাঁর শৈশব কেটেছে ফরিদপুরে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ২০১৩ সালে সুনামগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালে তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অত্যন্ত সাহসিকতার, সততা ও ভালবাসা দিয়ে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন।
তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনগণের সেবা করা আমার কাজ। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি জনগণের জন্য কাজ করছি। নাগরপুরের সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার জন্য যা যা করা সম্ভব আমি সব করতে চেয়েছি । এতে স্থানীয় মাননীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ,সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজ সকলেই যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি তাদের কাছে চিরঋণী। কাজের মাঝে, চলার পথে ভুল হতে পারে। সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি। ভালো থাকবেন প্রিয় নাগরপুরবাসী। আমি ও আমার পরিবারের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। সবাই জীবন সুন্দর ও নিরাপদ হোক এটাই প্রত্যাশা করি। সবাই ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন , সুস্থ ও নিরাপদ থাকবেন ।’