কাউসার খান, সিডনি
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ প্রকাশ করার জন্য দেশটির গণমাধ্যমকে অর্থ প্রদান করতে হতে পারে ফেসবুক ও গুগলকে। গণমাধ্যমের নিজস্বতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় নতুন নীতি প্রণয়ন করতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ফেসবুক ও গুগলের রাজস্বের প্রথম ভাগীদার হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলীয় প্রতিযোগিতা এবং গ্রাহক কমিশনের (এসিসিসি) প্রকাশিত এক খসড়ায় আজ শনিবার এ কথা বলা হয়। চলতি বছর নাগাদ এ নীতিমালা বাস্তবায়িত হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারের আদেশ অনুযায়ী ফেসবুক, গুগলসহ বড় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর নতুন চুক্তি হবে।
খসড়া প্রকাশকালে দেশটির অর্থমন্ত্রী জস ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, ‘আমরা চাইছি গুগল ও ফেসবুক অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা যেগুলো ব্যবহার ও পছন্দ করে, সে খাতগুলোয় সেবা প্রদান অব্যাহত রাখুক। তবে সেটা অবশ্যই আমরা আমাদের আইন অনুসারে চাই এবং সেটা যেন সুষ্ঠু হয়।’
কোন কোন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নতুন নীতির আওতায় পড়বে, তা এখনো নিশ্চিত নয় জানিয়ে ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, ‘তবে এটা ফেসবুক ও গুগলকে দিয়েই শুরু হবে।’
গণমাধ্যমকে এই অর্থ বার্ষিক কিংবা পণ্যভিত্তিক প্রদান করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির তথ্য যোগাযোগমন্ত্রী পল ফ্লেচার। নীতিমালা না মানলে বড় আকারের জরিমানার বিধানও থাকবে।
নতুন নীতির খসড়া সংস্করণটি প্রকাশ করেছে কমিশন। আগস্ট মাসের নাগাদ সংস্করণ শেষ হওয়ার পরেই নীতিমালাটি সংসদে উত্থাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারের নীতিমালাকে ‘ভারী হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন গুগল অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেল সিলভা। সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালাটি হতাশাব্যঞ্জক বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে ফেসবুক এক বিবৃতিতে জানায়, যেহেতু বেশির ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী মাধ্যমটি সংবাদের জন্য ব্যবহার করে না, তাই ফেসবুকে সংবাদ প্রচার না করলেও ফেসবুকের ওপর এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।