নিজস্ব প্রতিবেদক◊
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে প্রেরিত রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশকে মুক্তির এবং জনস্বার্থ বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।
তারা বলেন, চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সংহতি সমাবেশ করায় প্রীতম দাশের উপর ক্ষুব্ধ সরকারের সমর্থকরা তার হিন্দু পরিচয়কে পুঁজি করে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাঁড় করিয়ে গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যা অন্যায় ও সংবিধান পরিপন্থি। প্রীতমের ওপর হওয়া এই জুলুম ন্যায়ের পক্ষে কাজ করা সব মানুষের ওপর জুলুম।
নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। এ আইনের মারপ্যাঁচে গ্রেপ্তার করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরাকে, লেখক মুশতাক, কার্টুনিস্ট কিশোরসহ অনেক শিল্পী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীকে। সর্বশেষ এই গণবিরোধী আইনের নির্মম শিকার হলেন প্রীতম দাশ। আর যেন কাউকে এই কালো আইনের শিকার হতে না হয় সে জন্য অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।
তারা আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করে তথাকথিত প্রভাবশালীগোষ্ঠীর হাতে ভিন্নমত দমনের মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকার তথা রাষ্ট্রযন্ত্রের সমালোচনা সইবার মতো সৎসাহস নেই বলেই এই ধরনের কালো আইন ট্রনয়ন করেছে সরকার।
নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো গনবিরোধী আইন যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে না পারে সে জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রীতম দাশসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দী সকলের মুক্তি চাই৷ এই কালো আইন বাতিল চাই৷ পাশাপাশি জনগণকে সাথে নিয়ে এহেন গণবিরোধী আইন বানানোর যে সাংবিধানিক ক্ষমতাকাঠামো, রাজনৈতিক দলগুলোকে তার সংস্কার করতে হবে।