নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের ৪ উপদেষ্টাকে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তির বছরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠায় তাদের অবদান কোনভাবেই খাটো করে দেখা যায় না। সে দিন জাতীয় ৪ নেতা প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালিন সরকার সর্বদলীয় রুপ পায় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হন।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, সদস্য কমরেড মনি সিং, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ ও মনোরঞ্জন ধর স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু। তিনি এদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জিবিত করেছেন তিনি। মনি সিং, মোজাফ্ফর, মনোরঞ্জন ধর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অসামন্য অবদান রেখেছেন। স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তিকালে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান রাষ্ট্রের ও সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তারা এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ইতিহাস তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধুকে তার থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়। যদিও ষড়যন্ত্রকারীরা সকল সময়ই দুই নেতাকে দুই নেতার প্রতিপক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র করেছেন এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। মওলানা ভাসানী মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহন করায় সেই সরকারের বিরুদ্ধে আভন্তরিন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী, কমরেড মনি সিং, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ ও মনোরঞ্জন ধরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের এই সরকারের দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি সরকার তাদের এই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে জাতীয় এই ৪ নেতাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার সূচনা করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল বলেন, মওলানা ভাসানী, মনি সিং, মোজাফ্ফর ও মনোরঞ্জন ধরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের মধ্য দিয়েই আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তি পালনের সূচনা করতে পারি। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ঐক্যের সূচনা হতে পারে।
তিনি জাতীয় এই চার নেতার জীবনী পাঠ্যপুস্তকে সংযোজনের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তাদের সংগ্রামী জীবন তুলে ধরার আহ্বান জানান।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. আউয়াল মিয়া, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি-জেএসপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জনতা ফ্রন্ট আবু আহাদ আল মামুন দিপু মীর, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, রঞ্জন রায়, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, মহিলা সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম ইমন, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।