স্টাফ রিপোর্টার,গাইবান্ধা◊◊
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি (নেসকো) এর আবাসিক প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ এর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানী,অতিরিক্ত ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল,জোড়পূর্বক প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন নেসকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ। এসকল ভোগান্তি ও প্রিপেইড মিটার স্থাপনে গ্রাহকদের চাপ প্রয়োগ করায় আবারো ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ।
এর আগে পলাশবাড়ীতে বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ ও জনসাধারণ নেসকোর প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন,নেসকোর কার্যালয় ঘেরাও এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এ স্মারকলিপির আলোকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্মারক পত্র নং- ০৫.৫৫.৩২০০. ০২২.৩৭.০৬০. ২০-৫৬ এর পত্রে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদ গত ৯ই জানুয়ারী নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজশাহীর বরাবরে গাইবান্ধা জেলায় প্রিপেইড মিটার সংযোগের সিদ্ধান্ত বাতিল,মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ বাতিলসহ ৪ দফা দাবীর দাখিলকৃত স্মারকলিপির বিষয়ে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
প্রিপ্রেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে এক স্মারকলিপি ও জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দাবীকে উপেক্ষা করে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টা অংশ হিসাবে আগের মিটারে কৃত্রিম ভাবে বিল বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের হয়রানি করছেন। গ্রাহকগণ এসকল বিষয়ে আবাসিক প্রকৌশলীকে অবগত করলে তিনি কৌশলে প্রিপেইড মিটার লাগানোর পরামর্শ ও চাপ প্রয়োগ করে গ্রাহকদের প্রিপেইড লাগাতে বাধ্য করছেন।
একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন, আমাদের এক প্রকার জোড় করে আবাসিক প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়েছেন। যে মিটারে আগের চেয়ে বিদ্যুৎ বিল বেশী আসছে। এছাড়াও নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যা গ্রাহকদের দারুন ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা আরো দাবী করেন,পলাশবাড়ী পৌর এলাকায় একাধিক গ্রাহক’কে না জানিয়ে ইচ্ছামতো আগে মিটার পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করায় ব্যাপক ভোগান্তিতে রয়েছেন।
অপরদিকে,প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবীতে আন্দোলনকারীরা জানান, বারবার নিষেধ করার পরেও আবাসিক প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টা চলমান রেখেছেন। গ্রাহকদের বাধ্য করছেন প্রিপেইড মিটার লাগাতে। এহেন কর্মকাণ্ডে শুধু আমরা নই পলাশবাড়ী সর্বস্তরের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। যে কোন সময় আবারো আন্দোলনকারীরা মাঠে নামবে এবং আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশবাড়ীর আবাসিক প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ বলেন, গ্রাহকদের হয়রারি করা হচ্ছে না, গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক মিটার দেয়া হবে। বিল বেশী আসলে সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য,বিগত পতিত সরকারের সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার প্রকল্প গ্রহন করা হলেও বর্তমান আবাসিক প্রকৌশলী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ছত্র ছায়ায় মাধ্যমে পলাশবাড়ীতে এসকল প্রিপেইড মিটার স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় বিশেষ সুবিধাভোগী নেতাদের দিয়ে। এছাড়াও গোপন সূত্রে প্রকাশ,স্থানীয় আন্দোলনকারীদের ম্যানেজ ও থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন আবাসিক প্রকৌশলী হারুন আর রশিদ।
অপরদিকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম প্রতিরোধে পলাশবাড়ী উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।