আজ (২৪ অক্টোবর) সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল (ভিআইপি লাউঞ্জে) সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহের উদ্যোগে আয়োজিত “নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও জনগণের প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বিএনপির জনসভা গুলো জনসমুদ্রে পরিণত হওয়ার দৃশ্য দেখে সরকারের উচিত অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
সভাপতির বক্তব্যে সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহের সমন্বয়ক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহ্সান উল্লাহ শামীম বলেন, সম্ভাবনাময় এই বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হিসেবে প্রমাণ করতে বর্তমান সরকর নারা ষড়যন্ত্র করে চলছে। দেশের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা যখন বলে প্রতিবেশি দেশ আমাদেরকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতা করবে। এটি নির্ঘাত রাষ্ট্রদ্রহিতার শামিল, দেশের দায়িত্ববান ব্যক্তিরা যখন বলে দেশ শৃলংকার মতো দেউলিয়া হবে কিংবা আগামী ২৩ সালে দূর্ভিক্ষ দেখা দিবে এই বক্তব্য দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল বলে আমরা মনে করছি। একাদশ সংসদ নির্বাচন যেভাবে দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসন দিয়ে ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে, এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ভবিষ্যতে আর করতে দেওয়া হবে না। সংবিধান স্বীকৃত দেশের মালিক যেমন জনগণ তেমনি জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে রাজনীতিবিদদেরও মৌলিক অধিকার রয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। আজ সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহ বর্তমান সরকারের অধীনে ভবিষ্যতে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এবং এটাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দেশে কোন ধরনের সংঘাত অথবা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটুক এটি আমরা চাই না। আজ শোকাবহ অক্টোবর মাস। এ মাসেরই ২৮ অক্টোবর বর্তমান সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নির্দেশে লগি বৈঠা নিয়ে পল্টনে নিরীহ রাজনৈতিক কর্মীদের উপর নির্মম ও নিষ্ঠুর নির্যাতন করে মৃত ব্যক্তিদের উপর নৃত্য করা হয়েছিল। আগামীতে যাতে এ ধরনের কোন ঘটনা বা পরিস্থিতির সৃষ্টি না সেজন্যই বর্তমান সরকারের নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজ’র চেয়ারম্যান মোহাঃ মাসুদ হোসেন বলেন, জনতার ঝড় প্রবল শক্তি সঞ্চার করে ধেঁয়ে আসছে। এই ঝড় আঘাত হানার আগেই সরকারের উচিত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া। অন্যথায় ঝড় আঘাত হানলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র চেয়ারম্যান কে. এম. আবু তাহের, তাঁতী দলের সহ—সভাপতি ড. মনিরুজ্জামান মনির, সারছিনার পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, সাংবাদিক নেতা সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দল চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়া ইফতেখার ফুয়াদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল হক, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, কল্যাণ পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ, মুসলিম লীগের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির মহাসচিব মোহাম্মদ শওকত হোসেন।