নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক সকল আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণ ও লুণ্ঠন করছে অন্য একটি দেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন, কিন্তু সে তার জীবনীশক্তি পানির লুণ্ঠন ঠেকাতে পারছে না বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষায় পানি লুন্ঠন ঠেকাতে হবে, ঠেকাতে হবে নদী দখল। নদী রক্ষায় প্রয়োজন দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতা। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) “বিশ্ব নদী দিবস” উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন কিন্তু বাংলাদেশ তার নদ-নদীগুলোকে লুণ্ঠনমুক্ত রাখতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাবি স্থাপনও করতে পারছে না অজ্ঞাত কারণে। শুধু তিস্তা একা নয়, ফারাক্কার কারণে পদ্মা এবং আরও বিভিন্ন ভারতীয় বাঁধের কারণে বাদবাকি আন্তর্জাতিক নদীগুলোতেও দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। দেশ মরুভুমি হয়ে যাচ্ছে। নেতৃদ্বয় বলেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের নদীগুলোর যতটুকু অস্তিত্ব আছে তাও আজ অসহায়। নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। নদী উদ্ধারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশও কাজে আসছে না। দেশের নদ-নদী অব্যাহতভাবে দখল হয়েছে, হচ্ছে। ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-নিরক্ষর, রাজনীতিক-ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি-সাধারণ মানুষসহ সমাজের প্রায় সর্বস্তরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অবৈধভাবে নদী দখলের সঙ্গে যুক্ত। দখলের কারণে অনেক নদী ভরাট হয়েছে, নাব্যতা হারিয়েছে। দখলের পাশাপাশি নদ-নদী ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার। দূষণে নদীর পানি ও নদীনির্ভর প্রাণবৈচিত্র নষ্ট হয়েছে। দখল ও দূষণে দেশের অনেক নদী মৃত বা মৃতপ্রায়। তারা আরো বলেন, মনে রাখতে হবে, নদ-নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এদেশ সোমালিয়ার মতো দুর্ভিক্ষপীড়িত এবং সন্ত্রাসকবলিত হয়ে পড়বে। তাই যে কোনো মূল্যে আমাদের নদ-নদী রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। অতীতে কে ভালো করেছে আর কে খারাপ করেছে তা দেখলে চলবে না। ইতিহাসের মর্মার্থ খুঁজে বের করতে হবে।