নিজস্ব প্রতিবেদক♦♦
★ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যুনতম ৩৫ সহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষ্যে উন্মুক্ত করে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ।
★ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাথে ছাত্রলীগের ও ৩৫ সমন্বয় পরিষদের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই । কারন আমরা অহিংস এবং শান্তি প্রিয় আন্দোলনে বিশ্বাসী ।
আপনারা জানেন যে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আন্দোলন চলছে । কথা দিয়েও যৌক্তিক এই আন্দোলন মেনে না নিয়ে বিগত স্বৈরাচার ও অবৈধ সরকার প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্র যুব সমাজের সাথে প্রতারণা করেছে । অবশেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে । আপনারা জানে যে আমি নিজেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন একজন কেন্দ্রীয় সংগঠক । বর্তমাব সরকার বিপ্লবী সরকার ( অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার । একটি গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে । তার মানে এই সরকার জনগণের সরকার । তাই এই সরকার থেকে আমরা দীর্ঘ দিন ঝুলিয়ে থাকা ৩৫ আন্দোলনের সফলতা কামনা করে দ্রুতই প্রজ্ঞাপন চাচ্ছি । যাহা এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব বলে আমরা মনে করি ।
★ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে যৌক্তিকতা –
★ বিশ্বের উন্বয়নশীল এবং উন্নত ১৬২ টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫/৪০/৪৫/৫৯ এবং অনেকে দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা-ই নেই । মানে উন্মুক্ত । তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা অবশ্যক বলে আমরা মনে করি ।
★ বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি পেয়েছে । যেমন যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ছিল ২৭ । যখন গড় আয়ু ছিল ৬০ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা হয়েছে ৩০ । বর্তমান গড় আয়ু ৭২+ সেই হিসাবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা হওয়া দরকার ৪০ কিন্তু আমরা ন্যূনতম ৩৫ চেয়েছি ।
★ বর্তমানে সেশনজট সামান্য কমলেও বিগত দিনে এর পরিমান ছিল ভয়াবহ । সেশনজটের কারনে যাদের জীবন থেকে ৬-৭ বছর হারিয়ে গেছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ কি হবে ? তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৫ বছর বাড়ানো জরুরী ।
★ পিএইচডি করতে গিয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী দেশে ফিরে আসেন কারন তখন তাঁর আবেদনের বয়সসীমা অলরেডি পার হয়ে গিয়েছি । এতে করে দেশে হাজার মেধার পাচার হয়ে যাচ্ছে । তাই দেশের মেধাবীদের দেশে রাখতে হলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৫-১০ বৃদ্ধি করা জরুরী ।
★ সরকার উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বলছে । একটি ছেলে যখন অনার্স পাশ করার পর তাঁর বয়স দাঁড়ায় ২৬-২৭ বছর তখন সে চাকরির জন্য পড়ার টেবিলে বসে পড়ে কারন তার কাছে আছে মাত্র ২-৩ বছর । এরপর রাষ্ট্র তাঁকে মেয়াদহীন ঘোষণা করে দিবে । তাঁর সার্টিফিকেটের কোন দামই থাকবেনা । তাই সে এই সময় পড়ার টেবিলে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে । আজ যদি তাঁর কাছে অনেক সময় থাকত সে যে কোন একটি উদ্যোগ নিতে পারত এবং আর যদি সেই উদ্যোগে সে ব্যার্থ হয় তবে যে কোন সময়ে চাকরিতে আবেদন করতে পারত । কিন্তু যদি এই সুযোগ না থাকে তবে সে হতাশ হয়ে পড়বে এবং আত্মহত্যারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে । কারন বাংলাদেশ এইরকম অসংখ্য যুবক চাকরি না পেয়ে কিংবা চাকরির সময় না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে । তাই মেধাবীদের বাঁচাতে হলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি কিংবা শর্ত সাপেক্ষ্য উন্মুক্ত করা জরুরী ।
★ মেয়েদের ক্ষেত্রেতো আরো বড় সমস্যা । একটি মেয়ে অনার্স পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায় । তখন তাঁর সংসার গুছাতে এবং সন্তান হলে শিশু সন্তানকে লালন পালন করতে ৭-৮ বছর শেষ হয়ে যায় । তাঁর তখন চাকরিতে আবেদনের মেয়াদ নেই । এইভাবে রাষ্ট্র অনেক মেধাবী বোনদের ডেট এক্সপেয়ার করে দিচ্ছে যাহা রাষ্ট্র ধ্বংসের শামিল ।
এইরকম অসংখ্য উদাহরণ ও যৌক্তিকতা আছে । যাহা বলতে অনেক সময়ের প্রয়োজন ।
সকল যৌক্তিকতার সহিত এবং লক্ষ লক্ষ মেধা রক্ষার জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষ্যে বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি ।
তাই আমরা মনে করি বর্তমান সরকার এই যৌক্তিক দাবিটিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং কোন প্রকার গড়িমসি না করে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে দাবিটি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিনীত আবেদন জানাচ্ছি ।
Tags: দ্রুত