আজ (২৯ আগস্ট) মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তার বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, দেশের রাজনীতিকে গণমুখী করতে রাজনীতিকে ব্যবসায়ী মুক্ত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রকৃত রাজনীবিদদের মনোনয়ন দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিবিদদের মূল্যায়ন করে গেছেন।
তিনি বলেন, ৭৫’র ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলংকজনক অধ্যায়। সেদিন ষড়যন্ত্রকারী শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে তাদের সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে পূর্ণ রায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল পাকিস্তানিদের হাত থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করা। তিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তাঁর ত্যাগের বিনিময়েই আমার পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশি—বিদেশি যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে যে চক্রান্ত মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ও জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যু্গ্ম মহাসচিব শেখ বাদশাউদ্দিন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—বাংলাদেশ ন্যাপ সহ—সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান নারায়ণ কুমার দাস, তৃণমূল বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী কবি রুখসানা আমিন সুরমা প্রমুখ।