নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০-২০২১ অর্থবছরের অসম্পূর্ণ কাজের সম্পূর্ণ করার লক্ষে আরো বাজেট প্রয়োজন। এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পটি অত্র ইউনিট কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৩ বৃদ্ধিসহ প্রাক্কলন ব্যয় ১২৯৯৯.১৭ লক্ষ টাকা পুন:নির্ধারণ করত: সংশোধিত ডিপিপি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের অনুকূলে ৬০০০.০০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৮ জনু) সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রজেক্ট সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে থাকা সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত প্রকল্প পরিচালকের এক সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠীত হয়। এ সময় দায়িত্বরত প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, প্রকল্পের কাজ গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সুষ্ঠ, সুন্দরভাবে এবং দ্রæত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চলতি ২০-২০২১ অর্থবছরের অবশিষ্ট ২৯০৬১.৬০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে ধারণা করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে এখনও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দির, পেট্রোল পাম্প, আওয়ামী লীগ অফিস এবং পুলিশ পাড়িসহ ৩৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ করতে সম্ভবপর হচ্ছে না। এ প্রকল্পের আওতাধীন্ প্রায় ২হাজার ৩শত ৩৬ কোটি ৪৯ লক্ষ ৪৫ হাজার ১ শত আশি টাকা অবৈধ সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতাধীন ৩৪ টি খাল খনন এর কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। বাকী কিছু খাল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ও পানি উন্নয়নের বোর্ড আওতাধীন রয়েছে। ডি এনডি প্রকল্পের ৪৪ কিলোমিটার রাস্তা ওয়ার্ক ওয়ে এর জন্য করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কাজের বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৫০.৬৫% হলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৪১.৫৫%। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের ইতিমধ্যে সম্পন্নকৃত ৯.১০% কাজের বিল পরিশোধ করা সম্ভবপর হচ্ছে না, যার মূল্য প্রায় ১১৮২৯.১৯ লক্ষ টাকা।
চলমান (কোভিড-১৯) মহামারীর কারণে অত্র প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারগণের পক্ষে বিল প্রাপ্তি ব্যতিরেকে আর আর্থিক বিনিয়োগ করা সম্ভব না হওয়ায় অধিকাংশ চলমান কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। যার কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সকল এলাকার জলাবদ্ধা রিসনে ভয়াবহ সংকট পরিলক্ষিত হবে বলে অনুমেয় এবং প্রয়োজনীয় অর্থ প্রাপ্তি ব্যতিরেকে অত্র দপ্তরের পক্ষে তা মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এছাড়াও উপযোগ স্থানান্তর খাতে কোন প্রকার অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্পে বিদ্যমান উপযোগসমূহ স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্পের খাল পুন:খননসহ আসিসি ব্রীজ, আরসিসি কালভার্ট ও ক্রস ড্রেন এর নির্মাণ কাজ ব্যহত হচ্ছে। এ এলাকায় বষা মৌসুমে বসবাসরত প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ মোকাবেলায় লক্ষ্যে বর্তমান অর্থ বছরে জরুরী ভিত্তিতে কমপক্ষে ১২৫০০.০০ লক্ষ টাকা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।