নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জাতীয় পার্টি সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলের চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সৃষ্টিশীল দুঃসাহসী। নজরুল নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন পরার্থে। স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে জনগণ ও সমাজের জন্য কাজ করেছেন। কাজী নজরুলের চেতনা আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং ধারণ করতে হবে।
শনিবার (২৮ মে) হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অগ্রগামী ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা ও গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রামে সাহসে কাজী নজরুল ইসলাম অনন্ত অনুপ্রেরণার উৎস।বাঙালী মুক্তির সংগ্রামে নজরুল সৃষ্টি আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। আমৃত্যু নজরুল নিপীড়িত শোষিত মানুষের পে কথা বলেছেন। অসাম্প্রদায়িকতার জয়গান গেয়েছেন প্রতিটি রচনায়। তাই নতুন প্রজন্মকে নজরুলের চিন্তা আদর্শকে ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কবি নজরুলকে ধারন করতে, লালন করতে হলে তাকে নিয়ে চর্চা করতে হবে। কবির ভাবনাকে ধারন করে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আর তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানব মনে সুন্দরের বোধন ঘটাতে হবে।
সংঠনের উপদেষ্টা তানিয়া সুলতানা কংকনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কর্নেল (অব.) মোকাররম আলী, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, জলঢাকা পৌর সভার মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব মো. আবদুর রহমান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এম গোলাম ফারুক মজনু। সঞ্চালনা করেন আর কে রিপন।
বক্তারা বলেন, নজরুলকে জানতে হবে, নজরুলের দেশপ্রেম বুকে ধারণ করতে হবে। নজরুলের সৃষ্টিশীল কর্মকান্ড, নজরুলের জীবন দর্শন, জীবন আদর্শ কতোটুকু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। নজরুল রাজনৈতিক-সচেতন ছিলেন, কিন্তু ধর্মের রাজনীতিকরণ এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের মধ্যযুগীয় উম্মাদনায় সামিল হননি। তাঁর রাজনৈতিক চেতনার পুরোটাই ছিল মৌলবাদের বিরোধিতা; অসাম্প্রদায়িক সেক্যুলার ও সাম্যবাদী রাষ্ট্রের প্রতি ছিল তাঁর আজীবন পক্ষপাত।