আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউনিয়নের রায়তী নড়াইল গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিবাদে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের হামলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী কলেজ ছাত্রী,নারী ও শিশু সহ গুরুতর আহত ১৫ জন।
আহতদের রংপুর,গাইবান্ধা ও পলাশবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। থানায় এজাহার দাখিল।
এজাহার ও সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে,ওই গ্রামের মো. ছকু মিয়ার ছেলে মো. শাহারুল ইসলাম গং-দের সাথে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রভাবশালী মো. আঃ কাফি প্রধানের ছেলে মো. আরিফ প্রধান ও মৃত্যু দুলু প্রধানের ছেলে সুমন মিয়া গং-দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে কলহ-বিবাদ ও মনোমালিন্য চলে আসছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে রায়তী নড়াইল গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন জমিতে প্রথমে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী আরিফ প্রধান,সুমন মিয়া ও মাসুদ মিয়া গং সহ তাদের পক্ষের প্রায় ২০/২৫ জনের একদল সশস্ত্র লোকজন লাঠিসোটা,লোহার রড,চাইনিজ কুড়াল,শাবল ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত শহিদুলের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে বাড়ির টিনের বেড়া ভাংচুর করে ও এলোপাথাড়ি মারামারি শুরু করে। তাদের হামলায় নারী,শিশু,বৃদ্ধ ও কলেজ ছাত্রী সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে সশস্ত্ররা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে। আহতরা হলো- শহীদ মিয়া,ওছমান মিয়া,খাদিজা বেগম,শামীম মিয়া, অজুবা বেগম,জোহরা বেগম,শাহারুল ইসলাম,২ বছরের শিশু আবু সাইদ, শান্তনা বেগম,মিনা বেগম,সাহেরা বেগম ও কলেজ ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহিদা আক্তার।
আহতদের মধ্যে ৯ জনকে পলাশবাড়ী,গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এবং বাকী আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এদের মধ্যে অজুবা বেগম (৭৫) রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং তাঁর অবস্থা গুরুতর।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি সহ আরও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় রবিবার রাতে একখানা এজাহার দাখিল করেছেন। আর এজাহার দাখিলের পর প্রভাবশালী আসামি ও তাদের পক্ষের লোকজন আহত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নানারকম ভয়ভীতি,পুনরায় মারপিট এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছে বলে আহত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।
এব্যাপারে তারা জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তবে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলেও দেখা না মেলায় তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। সোমবার পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।