অনলাইন ডেস্ক♦♦
রাজধানীর দক্ষিণ অর্থাৎ কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ফয়জুল হোসেন রাব্বি দেশত্যাগে এলাকাবাসী আনন্দে মেতে উঠেন।
তিনি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় ত্রাসের আধিপত্য সৃষ্টি করে ছিলেন। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন বলে এমনটি অভিযোগ গড়ে উঠেছে এলাকাবাসীর কাছে।
জানাগেছে, ইতিপূর্বে দেশের প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যায়। কিন্তু তাঁর আগ থেকে সরকারের এমপি-মন্ত্রী সহ অনেক প্রভাবশালী নেতারা দেশ থেকে চলে গেছে।
এই আন্দোলনে দেশের অনেক ছাত্র জনতা প্রাণ হারিয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের গুলিতে মারা গেছে অনেক ছাত্র জনতা। তাই এদেশের জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে আর তাঁদের দেখতে চায় না। এমনকি যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর যারা দেশে রয়েছে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে।
আরও জানাগেছে, বিগত দিনে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের আচরণে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা দক্ষিণের কদমতলী থানার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়জুল হোসেন রাব্বি।
২০২৩ সালের ২০ আগষ্ট ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি নেতাদের সাথে ঝামেলা করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন ছাত্রলীগের এই নেতা। তাঁর কিছুদিন পর তিনি লন্ডন চলে যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কদমতলী থানা এলাকার কয়েকজন স্হানীয় বাসিন্দা বলেন, ফয়জুল হোসেন রাব্বী দেশ ছাড়ায় এলাকার মানুষ শান্তিতে আছেন। তিনি দেশে ফিরে এলে তাঁকে যেখানে পাবে সেখানেই গণধোলাই দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা আর এদেশে হিংস্র কোন রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টি হতে দিবে না বলে তাঁদের মনে এমনটি প্রত্যাশা।