এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলমান স্বৈরাচারী মাফিয়া তন্ত্রের অপরাজনীতিকে উৎখাত করে দুর্নীতিমুক্ত শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা এই মঞ্চের মূল লক্ষ্য। ঐক্যমঞ্চের সদস্যবৃন্দ বিশ্বাস করে যে, ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে দেশে অসাধারণ একটি বিপ্লব হয়েছে। হাজারো তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জন। এখনো প্রতিদিন আহত শহীদদের মৃত্যুর সংবাদ আসছে। হাজারো ছাত্র জনতা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধ হয়েছেন। এই অসীম আত্মত্যাগের সাথে কোন ধরনের রাজনৈতিক বেইমানি বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।
তারা বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য, শোষণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দানবীয় অপব্যবহার চলেছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করা হয়েছে। জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পরে এখন মানুষ তাদের মত প্রকাশ করতে শুরু করেছে। কেমন বাংলাদেশ গড়তে চায় সেই অভিপ্রায় প্রকাশ করতে শুরু করেছে। অপরপক্ষে, খুনি হাসিনা সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত দালালরা সক্রিয় হয়েছে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, ছাত্রজনতা এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে যেন ভবিষ্যতে এই বাংলাদেশে আর কোন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা দালালগোষ্ঠী ক্ষমতায় গিয়ে পুনরায় ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে না পারে। পুরোনো সুবিধাবাদী, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও রাজনীতি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন প্রয়োজন বাংলাদেশপন্থী, সৎ ও দেশপ্রেমিক সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকা। রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের রক্তের দামে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যার উদ্দেশ্য ছাত্র জনতার জান-জবানের স্বাধীনতার ম্যান্ডেট পূরণ করা, রাষ্ট্রের সংবিধান ও গণতন্ত্র পরিপন্থী সকল নীতিমালা সংস্কার করে জনগণকে সত্যিকারের একটি স্বাধীন দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশের নব যাত্রা শুরু করা। তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহযোগিতার হাত প্রসারিত আছে। একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার কোন ব্যত্যয় হলে, দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দালালদের পুনর্বাসিত করা হলে, আমলাতন্ত্রকে পালন করতে চাইলে ছাত্রজনতা আবারো সোচ্চার হবে। স্বৈরাচারী মাফিয়াতন্ত্রের অপরাজনীতি উৎখাত করে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঐক্য সফল হোক।
“ছাত্র-জনতা ঐক্য মঞ্চ” প্রধান সংগঠক মনোনীত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল হোসাইন। এছাড়াও সহ-সংগঠক মনোনীত হয়েছেন শেখ নাসির উদ্দিন, ছামিউল আলম রাসু, এডভোকেট সহিদুল আলম, নাজমুল হোসেন মজুমদার, ইঞ্জি. থোয়াইচিং মং চাক, আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও ক্বারী আব্দুল আহাদ। খুব শীঘ্রই ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হবে।