যুব জন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আলী স্বপন বলেন, যে সরকার যখনই বাজেট দেয় সেই বাজেটই জন বিরোধী বাজেট হয় । সরকার কখনই জনগণের অনুকূল বাজেট করতে পারেনা । সরকার ব্যর্থ ।
গণ ফোরামের তথ্য ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ২০১৮ সালে আমরা কোটা সংস্কার চেয়েছিলাম তখন সরকার একতরফা কোটা বাতিল করেছে । এটা ছিল সরকারের অপকৌশল । সেটা এখন প্রমান হয়েছে ।
আমরা অবৈধ সরকারকে হুশিয়ার দিয়ে বলতে চাই কোন অপকৌশল কোটা পুনর্বহাল করলে এর জবাব ছাত্র-জনতা রাজপথে দিব ইনশাআল্লাহ ।
জন জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সাংবাদিক খন্দকার জসিমউদদীন বলেন, জন জোট যে যৌক্তিক দাবি সমূহ উপস্থাপন করেছে তাহা সরকারকে মেনে নেওয়া উচিত । ছাত্র— জনতার বিপক্ষে হলে তাহা সরকারের জন্য ভাল হবে না ।
জন জোটের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মোঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন, ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবি কোটা বাতিল না করলে এবং চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করলে সেটা হবে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর । মেধার মূল্যায়নের জন্য অবশ্যই কোটা প্রথা বাতিল করা সময়ের দাবি ।
জন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও প্রোগ্রামের সভাপতি ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, আমরা দেখেছি এই সরকার বরাবরই ছাত্র জনতার সাথে প্রতারণা করে আসছে যার প্রমাণ কোটা পুনর্বহাল করা । লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের আন্দোলনের রোষানলে পড়ে এবং ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কোটা বাতিল করল এবং অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে কোটা পুনর্বহাল করল যাহা প্রমাণ করে সরকার একটি মিথ্যাবাদী সরকার ।
দীর্ঘ দিন থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি আন্দোলন চলছে। সরকার বলেছে ক্ষমতায় আসলে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে কিন্তু সেটা নিয়ে সরকার বড় ধরনের প্রতারণা ও প্রহসন করছে৷।
১০ টাকায় চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি দিবে বলে ক্ষমতায় এসেছিল আর এখন আমরা দেখি চালের দাম ৮০ টাকা আর ঘরে ঘরে বেকার । সরকারের সকল বাজেটই হয় জনবিরোধী বাজেট ।
আমরা বলতে চাই হয়ত ছাত্র জনতার দাবি মেনে নিতে হবে আর নতুবা এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় ছাড়তে হবে ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহবুব শামিম, সহ সমন্বয়ক মোঃ নেওয়াজ এবং নারী বিষয়ক সমন্বয়ক রেশমা আক্তার, যুব বিষয়ক সমন্বয়ক সাফিউল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় ছাত্র যুব শ্রমিক নেতৃত্ববৃন্দ ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ফার্মাসিস্ট মুজাম্মেল মিয়াজী প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।