স্টাফ রিপোর্টারঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের সোনাপুর মতিন খান হাউজিং এলাকায় প্রকাশ্য চুরি-ডাকাতি চালিয়ে যাচ্ছেন ইকবাল বাহিনী। দীর্ঘদিন যাবত সন্ত্রাসী ডাকাত দল গড়ে তোলেন, চক্রের মূলহোতা ইকবাল।কাঁচপুর এলাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া সহ সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ,গার্মেন্টস শ্রমিক, কর্মচারী, পথচারীরা।কাঁচপুর শিল্প-অঞ্চল ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ার সুবাদে বাহিরের মানুষের বসবাস বেশি।অত্র এলাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হওয়ার সুবাদে ২৪ঘন্টায় শিপটিং ডিউটি করতে হয় শ্রমিকদের, রাতের ডিউটিতে যাতায়াতেই ইকবাল বাহিনীর হাতে বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়।অভিযুক্তরা বলেন আমাদের সংগে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার আপোষে না দিলেঅস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ছিনিয়ে নেয়।ইকবাল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রতিবাদ শক্তি না থাকলেও, অবশেষে ইকবাল বাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে অত্র এলাকার আমজনতা ফুলেফেঁপে উঠেছে।বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন থানায় শতাধিক মামলার আসামি ইকবাল।তন্মধ্যে সোনারগাঁও থানায় ইকবালের নামে ১৫টির অধিক মামলা আছে।
যাহার মামলা নাম্বারগুলোঃ- এফ আই আর নং ১১ তাং ৬ এপ্রিল ২০১৯ জি আর নং ২৩৬।
এফ আই আর নং ৪৮ তাং ২২ অক্টোবর ২০১৮ ধারা ৯(৩)২০০০ সালের নারী শিশু ও নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩।
এফ আই আর নং ৩৩ তাং ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ জি আর নং ৬৬৯ ধারা ১৯(১)এর ৭(ক)১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন।
এফ আই আর নং ৬৬ তাং ২১ আগষ্ট ২০১৭ ধারা ১৯(১)এর ৯(ক)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন।
এফ আই আর নং ৫০ তাং ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ধারা ১৯(১)এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন।
এফ আই আর নং ৩৬ তাং ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ধারা ১৯(১)এর ৯(খ) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন।
এফ আই আর নং ৪৭ তাং২৫ জুলাই ২০০৭ ধারা ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড ১৮৬০।
এফ আই আর নং ৮ তাং ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ জি আর নং ৮৭১ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩৭৯/৫০৬/৩০৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
এফ আই আর নং ১ তাং নভেম্বর ২০১৯ জি আর নং ৭৮১ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এফ আই আর নং ১১ তাং ৪ নভেম্বর ২০১৮ জি আর নং ৮১০ ধারা ১৯(এ)১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন।
এফ আই আর নং ১০ তাং ৪ নভেম্বর ২০১৮ জি আর নং ৮০৯ ধারা ৩৯৯/৪০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এফ আই আর নং ১১ তাং ৯ জুলাই ২০১৬ ধারা ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০।
এফ আই আর নং ৫০ তাং ১২ নভেম্বর ২০০৭ ধারা ৮/৩০ ২০০০ সালের নারী শিশু ও নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩।
এফ আই আর নং ৮(১২)১৯ তাং ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩৭৯/৫০৬/৩০৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
এতোগুলো মামলা থাকার পরও ইকবালকে কেন আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না মর্মে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সন্দিহান প্রকাশ করেছে অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ।
জানাগেছে, ইকবাল(৩৫) পিতা হারুন আর রশিদ, সাগর(৩০) পিতা অজ্ঞাত, নুরুজ্জামান(৩৫) পিতা মৃত নূর ইসলাম ড্রাইভার, সর্ব সাং কাঁচপুর সোনাপুর, থানা সোনারগাঁও, জেলা নারায়ণগঞ্জ।এদের মধ্যে মূলহোতা ইকবাল বাহিনীর বাস ভবন ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন । ওই অভিযুক্ত চক্রটি দীর্ঘ বহু বছর ধরে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।অত্র এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভাবেক্ষতিগ্রস্ত,হয়রানি ও সম্মানহানীর স্বীকার হচ্ছেন বলে জানায়।
ভুক্তভোগীরা আরো জানায় সোনারগাঁও থানায় শতাধিথক জিডি ও শতাধিথক মামলা প্রদান করেও কোন প্রকার আইনি সহযোগিতা পাচ্ছি না।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন সোনারগাঁও থানার ওসির সঙ্গে ইকবাল বাহিনীর খুব ভাল সক্ষ্যতা আছে, এবং ইকবাল বাহিনীর সঙ্গে ওসির গোপন চুক্তি থাকতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। ইকবাল বাহিনীর শেল্টারদাতা, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর,উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম।এদের দিক নির্দেশনায় ওই অভিযুক্ত চক্রটি ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিপূর্বে কাঁচপুর মালিকানা কাঁচা বাজার (রোকোনুজ্জামান রোকনের) ব্যবসায়ীদের ক্যাশ-বাক্স চাঁদার দাবিতে লুটপাট করেন। লুটপাটের সময় মালিক রোকন বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন শাহ আলম মেম্বারসহ ইকবাল বাহিনী বাহিনী।এধরনের প্রতিদিন দখল-বাণিজ্য, ছিনতাইয়ের ভাগবাটোয়ারায় যুক্ত থাকেন তারা।
অনুসন্ধানে জানাগেছে মেম্বার শাহ আলমের নেতৃত্বে থাকা সন্ত্রাসী চক্র ইকবাল, সাগর, বাবুর বডি গার্ড নুরুজ্জামান ও মোমেন গংরা ব্যাপক কু-কর্মে জড়িয়ে পড়েন।এদের মধ্যে সোনাপুরের সন্ত্রাসী মোমেন বর্তমানে র্যাব-১১এর হাতে গ্রেফতার হয়ে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন বলে জানা যায়।
মো: মোশাররফ হোসেন(৪৮) পিতা মৃত আইয়ুবুর রহমান, সাং সোনাপুর, জিডি নং ৪০২ তাং ১০/৭/১৮ দড়জা-জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অর্থ স্বর্ণ-গয়না ছিনিয়ে নেন তিনি। লুটপাটের সময় সিসি টিভি ক্যামেরায় অনেক বাড়ির ছিনতাইয়ের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
এধরনের কর্মকান্ডে মামলার করার কথা জানতে পারলে, সে সকল বাড়ির ম্যানেজার কিংবা বাড়ির মালিকদেরও মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমন অডিও রেকর্ড চিত্রও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মতিন খান প্লট মালিক ইসমাইল ফরাজি, প্রবাসী সুলতান আহমদ আমিনপুর গ্রামের একাধিক বসত বাড়ি মালিকদের বাড়ি-ঘর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সন্ত্রাসী ইকবাল।
আরও জানা যায় সন্ত্রাসী ইকবালের শতাধিথক যৌন কর্মী অজ্ঞাত নামা মহিলা পতিতা বাহিনী রয়েছে।
রাতের আধাঁরে সাধারন মানুষকে ফিটিং দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেন। তার নেতৃত্বে থাকা অজ্ঞাত নামা শতাধিথক পুরুষ-মহিলা অবৈধ কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে যোগ দেন। এসব অর্থ আদান-প্রদানের মূল ক্যাশিয়ার নূরুজ্জামান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গার্মেন্টস শ্রমিক পথচারী ২০/৩০ জন তথ্য জানান, ইকবাল নামের ডাকাত প্রকাশ্য রাত ১২ টার পরে, তার সহচর ১৫/২০ জন সঙ্গে নিয়ে জনসম্মূখে আমাদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে।আমাদের (শ্রমিক পথচারীদের) সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়।
এমন গত ২৫/২/২০. এনজিল চাকমা (২০) পিতা অজ্ঞাত, নিপায়ন চাকমা(২৫) পিতা জ্যাতিময় চাকমা, রিতা চাকমা(২২) পিতা অজ্ঞাত, সোনাবী চাকমা, থানা পানছড়ি, জেলা খাগরাছড়ি। ভোর রাতে তাদের কারিনা টাওয়ার সংলগ্ন থেকে, সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা, স্বর্ণ-রুপা সবকিছু ছিনিয়ে নেন ইকবাল।
এমনকি তাদের একই রাতে বাসা-বাড়ি দরজা জানালা ভেঙ্গে সকল প্রকার অর্থ স্বর্ণ-গয়না লুটপাট করেন। এমন ঘটনার কথা শুনে শতাধিথক চাকমা একাত্রিত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এধরনের শত শত শ্রমিক পথচারীদের সঙ্গে থাকা অর্থ মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে ইকবালের বিরুদ্ধে। কাঁচপুর সোনাপুরে ইকবাল সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাবুল ওমর বাবুর নেতৃত্বে ১৩টি স্থানীয় বসত বাড়ি দখল করেন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরধারীতে থাকলেও,তারা অদৃশ্য কোন কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে ভুক্তভোগী বলেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোর্শেদ মিয়া, সৌদি প্রবাসী সুলতান আহম্মেদসহ ৯/১০ জানান, আমরা কাঁচপুর সোনাপুর মতিন রিয়েল ইষ্টেট কমপ্লেক্সের (স্বত্তাধিকারী) বাড়ির মালিক। বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরের জানালা ভেঙ্গে লুট করে সব কিছু নিয়ে যান।
ইকবাল প্রথমে আমার বাড়ির একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। তারপর আমার বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে। তাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে, তিনি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে থানায় জিডি এবং মামলা করি, কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
তিনি আরও বলেন, গত ৯/৩/২০ রাত সাড়ে ১২ টার সময় আমার পাশের বিল্ডিং ইসমাইল ফরাজির ভাড়াটিয়া সাজ্জাদ হোসেন নামের একটি ছেলেকে, কাঁচপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। সাজ্জাদের সাথে ছিলো ডিসকভারি হোন্ডা, এন্ড্রয়েড আইফোন এবং চারটি স্বর্ণের আংটি কেড়ে নেন ইকবাল বাহিনী। তারপরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে রড দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। এক লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায় সাজ্জাদের বোন কুলসুম তার মোবাইল ফোনে কল আসে সাজ্জাদ অপহরণ হয়েছেন। এক লক্ষ টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলবে। পরে এক লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন তার পরিবার।
এবিষয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি কোন প্রকার আমলে নেননি। তিনি জানান, একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসামি কিভাবে আমাদের বাড়ি লুটপাট করেন। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে বার বার অবহিত করলেও তারা কোন প্রকার আমলে নিচ্ছে না। এর কারণ হয়তো কোন এক অজানা কাহিনি আছে বলে মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, ইকবালের পরিবার দিন আনতে পান্তা ফুরায়, এখনো তার বাবা হারুন কাঁচপুর কাঁচা বাজার বাসষ্ট্যান্ডে ফুটপাতে কাঁচামাল বিক্রি করেন। আর তার ছেলে ইকবাল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চুরি ডাকাতি এবং ছিনতাইকারীর মত ঘৃণ্য পেশা।
এমন কর্মকান্ডে বেশ ভালো টাকার মালিক বনে গেছেন। এতে যুক্ত রয়েছেন তার চাচাতো ভাই সাগর এবং ফুফাতো ভাই ডিস ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান তাদের পার্সোনাল ক্যাশিয়ার।
মোর্শেদ মিয়া বলেন, ইকবাল চুরি-ডাকাতিতে অনেক চঞ্চল, কোন প্রকার পুলিশ প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করতে আসলে। তাকে কখনো ধরা সম্ভব হয় না। তিনি দিনের বেলায় অন্য লোকের ভবনের ছাদের উপর ঘুমিয়ে থাকেন। ধরতে আসলে বাড়ির ছাদ লাফিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে চলে যান।
তবে পুলিশ ইচ্ছে করলে গ্রেফতার করতে পারে কিন্তু তারা স্ব-ইচ্ছায় গ্রেফতার করে না। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং মামলার কপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন কোন দপ্তরে নেই যে আমার কপি দেওয়া হয়নি।
সুতরাং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একটু বললে তাদের চাঁপের কারণে, সোনারগাঁও থানার (ওসি) তাদেরকে অবহিত করে সতার্ক বার্তা দিয়ে পুলিশ পাঠান। অবশেষে পুলিশ বলেন আমরা কি করবো তাকে ধরতে পারি না। এধরনের কথা বলে ফুসকে যান তারা।
আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের জানান, গত ৪/১২/১৯ বিকেল ৫ ঘটিকার সময় সোনাপুর মতিন খান প্লট হাউজিং এলাকায়। আমাকে একা পেয়ে ইকবাল বাহিনী অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে। সাথে থাকা দুই লক্ষ টাকা, গলায় স্বর্ণের চেইন, আইফোন এবং হাতে রুপার আংটি নিয়ে। আমাকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় এবং পেটে আঘাত করে। এমতাবস্থায় আমি ঘটনাস্থলে রক্ত্যক্ত অবস্থায় ঢলে পড়ে যাই। ঘটনার খবর পেয়ে আমার পরিবারের সকল সদস্যরা এসে কাঁচপুর মডার্ণ হসপিটালে ভর্তি করেন।
আমার ছোট ভাই মো: সুলতান সোনারগাঁও থানায় হাজির হয়ে দুর্র্ধষ ভয়ংকর ডাকাত এবং মাদক ব্যবসায়ী ইবকালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত ৪/৫ মাস অতিক্রম হয়ে গেছে কিন্তু কোন প্রকার আইনি প্রক্রিয়া নেই।
তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ এবং মামলার কপি প্রদান করেন। মামলার আসামিকে গ্রেফতার কারার জন্য। তিনি সোনারগাঁও ওসিকে বলে দেন কিন্তু ওসি কোন প্রকার পদক্ষেপ নেননি ।
বরং পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ প্রদান করলে, ইকবাল বাহিনীর ফুফাতো ভাই নুরুজ্জামানকে অভিযোগদাতা বানিয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের পরিবারের সকলকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন ওসি। এমনকি এবিষয়ে সাংবাদিরা সংবাদ প্রকাশ করাতে তাদেরকেও মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন নুরুজ্জামান।
ইতিপূর্বে আরও এক নীরহ সাংবাদিক আল-আমিন তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায়, কাঁচপুর মতিন খান প্লটে তাকে একা পেয়ে বেদরক ভাবে মারপিট ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করেন ইকবাল। তিনি আরও জানান, এদের পক্ষে একমাত্র শেল্টারদাতা সোনারগাঁও থানার ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাব্ ু।অবৈধ মোটা অংকের অর্থের ভাগবাটোয়ারা দেওয়াতে তাদের পক্ষে একক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বাবুর পাসোর্নাল বডিগার্ড ইকবালের ফুফাতো ভাই নুরুজ্জামান এবং ইকবাল ও সাগর গংদের প্রতিদিনের তালিকায় চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইবাজি করে যত প্রকার ইনকাম বাণিজ্য আসে সম্পূর্ণ ক্যাশিয়ার নুরুজ্জামানকে প্রদান করতে হয়। এধরনের প্রতিদিনের অর্থ প্রতিদিন ভাগবাটোয়ারায় লিপ্ত থাকেন তারা।
এদেরকে অচিরেই গ্রেফতার করা হউক, আমরা কাঁচপুরবাসী অনেকেই এদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অত:পর এদের পিছনে যারা শেল্টারদাতা রয়েছেন, সে সকল মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। সোনারগাঁও বাসির আবেদন, পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ যানাচ্ছেন বিষয়টি নজরধারি করার জন্য।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা কিভাবে তাকে গ্রেফতার করবো, আমরা তাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। আপনারা ধরে আমাদেরকে খবর দিন। তাহলে আমি পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। অন্যথায় কোন ভাবে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।
ভুক্তভোগীরা অতি দ্রুত গ্রেফতার করার লক্ষে, পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে, আপনি কেন ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীসহ সকলকে আপনার পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছেন।
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবেঃ- তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না,আমাকে না জানিয়ে হয়তো আমার থানার কোন পুলিশ স্টাফ তাদের বাড়িতে গেছে। আমি বিষয়টি দেখবো পরবর্তী আমার পুলিশ আর যাবে না। পরের দিন আবার থানা পুলিশ এসে মামলা ছাড়াই অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করার জন্য মরিয়া হয়ে যাচ্ছেন। এবিষয়ে মুঠোফোনে আবার জানানোর চেষ্টা করলে- তিনি ব্যস্ত বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।
সোনারগাঁও থানার ইউএনও বলেন, করোনা সংক্রমন ব্যাধিতে যারা বাড়িঘরে চুরি-ডাকতি করছেন, সে বিষয়ে থানার ওসির সাথে অনেকবার কথা হয়েছে। আরও টহল পুলিশ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এবং সে সাথে যদি বাড়ি-ঘরে চুরি-ডাকাতি হয়ে থাকে । বিষয়টি বাড়ির মালিকদেরও নিশ্চত করতে হবে। আর রাস্তায় বা পথে এমন ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসিকে বলা হয়েছে বিষয়টি তৎপর থাকার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বলেন, কাঁচপুরে সন্ত্রাসী ইকবালের বিরুদ্ধে অনেক বাদি পক্ষরা লিখিত অভিযোগ বা মামলার কপি প্রেরণ করেছেন। আমি বিষয়টি দেখবো, আপনারা সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামানের সাথে একটু যোগাযোগ করুন।
জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি অসুস্থ্য জ্বর-কাশ-ঠান্ডা অবস্থায় পরিবারের থেকে আলাদা কোয়ারেইনটাইনে আছি। সে সাথে আমার দায়িত্ব ক্রমে বিভিন্ন অফিসারদের দিক-নির্দেশনা দিতে হয়। তবে করোনার এই মুহুর্তে যারা চুরি-ডাকাতি করেন। সে বিষয়ে এসপি সাহেবকে বলে রেখেছি। কাঁচপুরের অভিযুক্ত ইকবাল বাহিনী তার বিষয়টি আমার মাথায় আছে। আবারও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে এসপিকে বলে নির্দেশ প্রদান করা হবে।
ডিসি বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় রয়েছে সাংবাদিকরা , আপনারা এধরনের ভালো কাজ করলে, আমরা নিজেরাও স্বস্তিবোধ করি। কারণ সকলে মিলেইতো সমাজ।