নিজস্ব প্রতিবেদক:
গতকাল ২৯ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিভিন্ন সেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, গণনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী ও এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতি বিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট গৌতম দাস, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর মেজর (অব.) ডা. আব্দুল ওহাব মিনার ও খ্যাতনামা আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক এবং পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। সকাল নয়টায় দলের আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বাধন ঘোষনা করেন। সম্মেলনের শুরুতেই কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পর্যায়ের সংগঠন বিস্তার, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান ও কর্মকৌশল নিয়ে বক্তব্য রাখেন হারুণ অর রশীদ, ব্যারিস্টার খান আজম, আব্দুল বাসেত মারজান, এম আমজাদ খান, অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সিকদার, প্রিন্সিপ্যাল আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, ড. সিদ্দিকুল ইসলাম ফরিদ, সরওয়ার সাঈদ, ইস্রাঈল চেয়ারম্যান, ছিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, আইনুল হক, বেবী পাঠান, আব্দুর রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ, আব্দুল লতিফ মাস্টার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল কাশেম, অধ্যাপক ফজলুল করিম বেলাল, আব্দুল লতিফ মাস্টার, অধ্যাপক আবু হেলাল, অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদের, আব্দুল হালিম খোকন, অ্যাডভোকেট হোসাইনুর রহমান লায়েস, অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন রবিন, শাহ আলম বাদল, আনোয়ার ফারুক, মেহেদী হাসান পলাশ, মুর্তাজা খান, আনোয়ার হোসেন, আসাদুর রহমান আসাদ, ডা. মোন্তাকিমুজ্জামান, চৌধুরী সাকিব, ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেন, এএফ জাহিদ সরকার, আহমদুল হক, এস এম রাশেদুজ্জামান, ডা. শেখ আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল হালিম নান্নু, ইমরান নাজির, ইঞ্জিনিয়ার গাজী সাইফুদ্দিন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, গাজী নাসির, সুলতানা রাজিয়া, কামাল হোসেন, আহমদ খলিল তফাদার। এরপর একে একে সারাদেশে পার্টির কমিটি গঠন, গঠনতন্ত্র অনুমোদন, প্রতিক চুড়ান্ত করন ও নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, এ্যাড. তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার জুবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিষ্টার নুরুল গাফফার, ব্যারিষ্টার সানি আব্দুল হক, ব্যারিষ্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান, আলতাফ হোসাইন ও শাহ আব্দুর রহমান। সম্মেলনে পার্টির আন্তর্জাতিক কমিটি বিষয়ক অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার খান মোঃ আজম। এসময় যুক্তরাজ্য কমিটির প্রধান ও দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, আব্দুল মোমিত ঝুরু, ফ্রান্স সমন্বয়ক মাহবুব আলম, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের পর্যবেক্ষক মিয়া সিরাজুল হক, নেদারল্যান্ড সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী রাজা, সৌদি আরব থেকে গাজী ওয়ালিউল্লাহ সেলিম ও মাহদী খন্দকার, আরব আমিরাত সমন্বয়ক মো. নোমান ও ইয়াসিন আরাফাত, সাউথ আফ্রিকা সমন্বয়ক মিসবাহ মন্জুর প্রমূখ অংশ নেন। সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রতিবেদন পেশ করেন আমিনুল ইসলাম এফসিএ, সামাজিক গণমাধ্যম নিয়ে বক্তব্য রাখেন আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবিএম খালিদ হাসান, নারী অংশগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্যরিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, স্টুডেন্ট উইং নিয়ে বক্তব্য রাখেন আল আমিন প্রিন্স ও আব্দুল্লাহ আফিফ। সম্মেলনের অতিথি বক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গনতন্ত্র ও ভোট আজ এক অজানা শব্দে পরিনত হয়েছে, দেশের মানুষের ভোটাধিকার জোর করে হরন করা হয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে নামতে হবে। দুই বছরের জন্য জাতীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাব রেখে জাফরুল্লাহ বলেন, এই দুই বছরের মধ্যে দেশের অভাবগ্রস্ত ১০ কোটি মানুষকে সুলভমূল্যে খাবার, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, ভয়ের কিছু নেই, বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, এবি পার্টির নেতাকর্মীদের দেখে আজ আমি উজ্জীবিত হয়েছি, সাহস পেয়েছি। আপনারা তরুন, আপনাদেরকেই এই দেশ গঠনে, অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করতে হবে, আমি বয়স্ক হলেও প্রয়োজনে হুইল চেয়ার নিয়ে আমি সামনে থাকবো কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তাঁর ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, আমরা একটি মহান উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, শাহাদাত বরণ করেছে কিন্তু কোন সুফল পায়নি। অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সেই সকল জনগণের মুখে হাসি ফোটাবো আমরা। তিনি বলেন এটি একটি কঠিন কাজ। পদলোভী, স্বার্থলোভী মানুষ এই কাজের অংশ হতে সক্ষম হবেনা। তারা আসবে যাবে কিন্তু ত্যাগীরাই সফল হবে।