নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১’র সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল গত (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন টিটিরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। “চাঞ্চল্যকর” এনজিও কর্মী হত্যা মামলার এজা হারনামীয় আসামী মোছা: শারমিন আক্তার (২৩) স্বামী মো: হান্নান, সাং-মিস্ত্রিপাড়া, থানা সোনারগাঁও, জেলা নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানাযায়, মোছা: শারমিন আক্তার সোনারগাঁ বারদি ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের মো: শামসুদ্দিনের ছেলে মো: হান্নানের স্ত্রী। শারমিন আক্তার এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্যুরো বাংলাদেশ, বারদী শাখা হতে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। যা সাপ্তাহিক ১২’শ পঞ্চাশ টাকা হারে পরিশোধ করার কথা। ঘটনার দিন গত (৬ সেপ্টেম্বর) নিহত এনজিও কর্মী ব্যুরো বাংলাদেশ, বারদী শাখার প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো: সাজিদুর রহমান পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী। কিস্তির টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে বারদি ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের মো: শামসুদ্দিনের ছেলে হান্নানের বসত বাড়িতে যান। পরবর্তীতে সেখান থেকে এনজিও কর্মী সাজিদুর রহমানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত এনজিও কর্মীর সহকর্মী ব্যুরো বাংলাদেশ, বারদী শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো: শামীম মিয়া বাদী হয়ে। নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানায় পেনাল কোড আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- সোনারগাঁ ১১(০৯)২০। এই নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিশেষ আভিযানিক দল। মেঘনা থানাধীন টিটিরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, এজাহারনামীয় ৩নং আসামী মোছাঃ: শারমিন আক্তার (২৩)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তাঁরা।
এবিষয়ে র্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপারমোঃ জসিম উদ্দীন চেšধুরী(পিপিএম) জানান, গ্রফতারকৃত আসামীকে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।