নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজনীতির মূল্য উদ্দেশ্য থাকতে হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দেশ-জাতির কল্যানে কাজ করা বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রভাষা মতিনের স্ত্রী গুলবদননেছা মনিকা মতিন বলেন, ভাষা সৈনিক আবদুলি মতিন ও ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু সারা জীবন সেই লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পুরাটাই ক্ষমতার বাইরে থাকলেও জনগনের জন্য কাজ করতে ভুলেন নাই। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিরনায়তনে ভাষা সৈনিক মতিনের (রাষ্ট্রভাষা মতিন) ৯৫তম জন্ম ও রওশন আরা বাচ্চুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মত ‘ভাষা সৈনিক’দের ভাষা বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়ার দাবী দীর্ঘদিন যাবত করা হলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয় নাই। যা অত্যান্ত দু:খজনক ও পরিতাপের বিষয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একই সঙ্গে সারা বছর শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষাসহ ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন ও রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভাষা আন্দোলনের এত বছরও পর এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মায়ের ভাষার অধিকার এবং সম্মান রক্ষায় যারা ভাষা আন্দোলন করেছেন তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারা রাষ্ট্র ও শাসকগোষ্টির চরম ব্যর্থতা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং ভাষা শহীদদের অবদানকে তুলে ধরতেই তাদের স্বীকৃতি প্রয়োজন। তিনি বলেন, আদর্শহীন মানুষ নিয়ে ক্ষমতায় গেলেও দেশের কোন কল্যাণ হয় না, হবেও না। ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার হতে পারে। তারা দেশের বা দেশের জনগণের মঙ্গলের পরিবর্তে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তি কল্যাণ বা স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যাস্ত থাকে। জনসাধারণের স্বপ্নের শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন ও রওশন আরা বাচ্চু ছিলেন নিবেদিত। তিনি বলেন, ভাষা শহীদ কেবল ভাইদের গৌরবের ইতিহাস না, বোনদেরও গৌরবের ইতিহাস। এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়েই একমাস জেল খেটেছি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস। এখানে সঙ্কীর্ণতার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ মহাসচিব মোহাম্মদ আতাউল্লা খান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সাহিত্য সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিতা রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম শুভ প্রমুখ।