মো. মহসিন রেজা রিপন,শরীয়তপুর:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উচ্চ চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে ২২ নভেম্বর সোমবারের সমাবেশের কোনো কর্মসূচী ছিলোনা শরীয়তপুরে।শনিবার ২০ নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উচ্চ চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ঢাকার অনশন থেকে ঘোষনা হয় সোমবার সারাদেশে সমাবেশ করার। অন্যন্যে জেলায় সোমবারের সমাবেশ হলেও সমাবেশের কোনো চিত্রই চোঁখে পড়েনি। ২০ নভেম্বরের অনশন কর্মসূচীও সেভাবে দেখা যায়নি জেলার বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনকে। শরীয়তপুর সমাবেশ না করার ঘটনায় বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচীই পালন করেননা, শরীয়তপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, শরীয়তপুরের জেলা বিএনপির নেতারা সবাই ঢাকায় বসবাস, ব্যাবসা বানিজ্য করেন তারা জেলায় এসে কোনো প্রোগ্রামে করেননা। ছাত্রদলের সাবেক আরেক নেতা বলেন, শরীয়তপুরে প্রায় এক যুগ ধরে ছাত্রদলের কোনো পূর্নাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুন শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল করতে পারছেননা, এতে একদিকে যেমন ছাত্রদল দূর্বল হয়ে পড়ছে ও নতুন ছাত্ররা ছাত্রদল না করতে পেরে হতাশ হয়ে অন্যে ছাত্র সংগঠনে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া জেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুবদল, ছাত্রদলসহ কোনো সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় কেউই কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীতে অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা বলেও জানান সাবেক এক বিএনপি নেতা। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে সোমবারের সমাবেশের আয়োজন না করার বিষয়ে জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রাসেদ খাঁন মেনন বলেন, আমি একটা কাজে ঢাকায় এসেছি সমাবেশের কোন খবর আমার কাছে নেই, তিনি আরো জানান শনিবারের কর্মসূচী অনশন পালন হয়নি কিন্তু জেলা ছাত্রদল নেত্রী আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করেছি। বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশ না করার এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ জানান, আমি ঢাকায় আছি সমাবেশ হচ্ছে কিনা আমি জানিনা। সমাবেশ না করার বিষয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম শাহ’কে মুঠো ফোনে কল করলে তিনি বলেন আজকে আমরা কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ করিনি বলেই তিনি কলটি কেটে দেন, পরে কল করলেও তা রিসিভ করেননি।