সকালের কাগজ ডেস্কঃ
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সম্প্রতি তুলাসার ও ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতায় আওয়ামীলীগ নেতা জাকির কোতোয়ালসহ প্রায় ৫০ নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জামাল ফকির জয়লাভ করায়, স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সন্ত্রাসী বাচ্চু বেপারী, চুন্নু বেপারী, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর বেপারী ও জুয়েল কাজীর নেতৃত্বে শতাধীক সন্ত্রাসী নৌকা সমর্থকদের মারধর করে। আহতরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেননি। এর আগে ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী সদস্য আজগর আলী খানের সমর্থকদের মারধর করে। এবং তাদের উল্টো মামলায় আসামী করে হয়রানি করেছে বাচ্চু বেপারীর সন্ত্রাসীদল। এঘটনায় আজগর আলী খানের ভাই শরীয়তপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আঃ জলিল খাঁন বলেন, আমার ভাই আজগর আলী খানের লোকজনকে মারধর করেছে এবং আমিসহ অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়েছে সন্ত্রাসী বাচ্চু বেপারী। তুলাসার ইউনিয়নের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলাসার ইউনিয়নের হারেজ কোতোয়ালের ছেলে আহত মনির কোতোয়ালের ভাই শাহাবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও ঢাকা বিভাগীয় দক্ষিণের ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির কোতোয়াল ১৬ নভেম্বর রাত আটটার দিকে পালং মডেল থানায় মামলা করতে এলে জেলা শহরের বটতলায় কম্পিটারের দোকানে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং গুলি করে সন্ত্রাসী বাচ্চু বেপারী, চুন্নু বেপারী, জাহাঙ্গীর বেপারী ও তাদের দলবল। গুরুতর আহত অবস্থায় পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকতার হোসেন তাদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যেরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরণ করেন। এবিষয়ে জাকির কোতোয়ালের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হয়, ভিডিওতে তিনি বলেন, আমার পরিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত জামাল ফকিরের পক্ষে নৌকা মার্কার নির্বাচন করায় রোববার আমার ছোট ভাই মনির কোতোয়াল, মেহেদী কোতোয়াল ও রুবেলকে, বাচ্চু বেপারী,চুন্নু বেপারী, জাহাঙ্গীর বেপারী, জুয়েল কজী ও তাদের লোকজন কুপিয়েছে। আমি খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে এসে সন্ধ্যায় পালং মডেল থানায় মামলা করতে যাই। আমরা বটতলায় কম্পিউটারের দোকানে মামলা করতে গেলে কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারী ও তার লোকজন আমাকে আমার ভাই মনির কোতোয়ালকে কুপিয়েছে এবং পিটিয়েছে। শরীয়তপুরে বাচ্চু বেপারী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাচ্চুর সন্ত্রাসের কারনে আজ শরীয়তপুরের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, আমি এর বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চু বেপারীকে একাধিক বার ফোনদিয়েও পাওয়া যায়নি। পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আকতার হোসেন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় জাকির কোতোয়াল ও তার ভাইকে কোপানোর বিষয়ে তার মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারী, চুন্নু বেপারী, জাহামৃগীরসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকায় ঘটনার দিন আব্বাস বেপারী ও জুয়েল কাজী কে গ্রেফতার করা হয়েছে, এখনো আর কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।