মো. মানিক মিয়া, লৌহজং:
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নাব্যতা সংকট ও পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেল সরু হওয়ার কারণে গেল কয়েকদিন ধরে রাতের বেলা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। শুধু দিনের বেলা অল্প কিছু ছোট ফেরি দিয়ে সীমিত সংখ্যক যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল করছে। এতে করে পারের অপেক্ষায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি লাগছে বেশি সময়। এর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে শিমুলিয়া ঘাটে। ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বুধবার ভোর ৬টা থেকে ৫টি ফেরি চলাচল করছে এই নৌরুটে। সারারাত ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় প্রায় ৪ শতাধিক যানবাহনের জটলা বাঁধে। এদিকে ৯টি ড্রেজার দিয়ে চ্যানেলগুলো ড্রেজিং করার পরেও স্বাভাবিক করতে পারছে না শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটটি।
জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশপথ শিশুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। দিনের বেলায় অল্প সংখ্যক ফেরি দিয়ে ঘাট স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে বিআইডব্লিউটিসি। পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় লৌহজং টানিং পয়েন্টে চ্যানেল সরু ও নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। পদ্মা সেতুর সাথে এ নৌ চ্যানেলটি থাকায় রাতে যে কোন মুহুর্ত্বে দুঘটনা ঘটতে পারে। ফলে দুঘটনা এড়াতেই রাতে ফেরি বন্ধ রা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, পুরাতন জমে থাকা গাড়ির সাথে নতুন গাড়িও যোগ হচ্ছে। প্রাইভেটকার ও পিকআপ বেশি আসছে ঘাটে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ১৬টি ফেরির মধ্যে ছোট ৫টি ফেরি চলাচল করছে। নয়টি ড্রেজার পলি অপসারণে কাজ করছে। তীব্র ¯্রােত, নাব্যতা সংকট ও পদ্মাসেতুর নিরাপত্তাজনিত কারনে অনির্দিষ্টকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে এই নৌরুটে। ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদেরকে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হিলাল উদ্দিন জানান, রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট স্বাভাবিক হয়ে যায়। তিনি আরও জানান আবারও সন্ধ্যার পর থেকে ঘাট এলাকায় আবারও যানজটের জটলা বাধে।#