||মো. মহসিন রেজা রিপন, শরীয়তপুর||
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ও একটির নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ৭টি মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থীগন ও দুইটিতে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিনোদপুর, তুলাসার, মাহমুদপুর এবং আংগারিয়া ইউনিয়নে কিছু বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা ছাড়া সকল ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট গ্রহনকৃত ৭টি ইউনিয়ের নির্বাচনী ফলাফলঃ পালং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম আজাহার হোসেন আনারস মার্কা নিয়ে ২ হাজার ৪শ ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন দেওয়ান। তিনি পেয়েছেন ২হাজার ২শ ৫৩ ভোট। পালং ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬হাজার ৯শ ৪৭টি। ডোমসার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাষ্টার মজিবর রহমান আনারস মার্কা নিয়ে ৫ হাজার ৯শ ৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খান। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ২ হাজার ৮শ ৭৬ ভোট পেয়েছেন। ডোমসার ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৩ হাজার ১শ ২৭টি। আংগারিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন আনারস মার্কা নিয়ে ৬হাজার ১শ ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তার। তিনি পেয়েছেন ৪হাজার ৫শ ৫০ ভোট। আংগারিয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৭হাজার ১শ ৫১টি। রুদ্রকর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালী নৌকা মার্কা নিয়ে ৭হাজার ৫৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী। তিনি পেয়েছেন ৪হাজার ৯শ ২৮ ভোট। রুদ্রকর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৮হাজার ৯শ ৪৯টি। তুলাসার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জামাল হোসেন ফকির নৌকা মার্কা নিয়ে ৩হাজার ৫শ ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হোসেন ফকির আনারস মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ৩শ ৩৯ ভোট। তুলাসার ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৭হাজার ৯শ ২৫টি। মাহমুদপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহান ঢালী আনারস মার্কা নিয়ে ১হাজার ৫শ ৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ শাহ আলম মুন্সী ১হাজার ৫শ ১৭ ভোট পেয়েছেন। আর আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ১হাজার ৯১ভোট। মাহামুদপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৫হাজার ৫শ ১৫টি। শৌলপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আঃ মান্নান খান ভাষানী আনারস মার্কা নিয়ে ২হাজার ৪শ ৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ২হাজার ৪শ ৩৮ ভোট। শৌলপাড়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১২হাজার ২শ ৭৩টি। ইতিমধ্যে বিনোদপুর ইউনিয়নে আঃ হামিদ সাকিদার এবং চন্দ্রপুর ইউনিয়নে আব্দুস ছালাম খান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া স্বাক্ষর জালিয়াতির করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের অভিযোগে চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েেছে।